ঢাকা | শুক্রবার
২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়ার আগুনে দাম বেড়েছে বাংলাদেশে

গত তিন মাস ধরে আগুন পুরছে অস্ট্রেলিয়ার জঙ্গল। সেই সাথে ভয়াবহ দাবানলে দাউ দাউ করে জ্বলছে মহাদেশটি। সে আগুনের উষ্ণতা ছড়াচ্ছে এখন ঢাকায়। আগুনের তীব্র আঁচে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। দাবানলের প্রভাবে ঢাকায় এখন প্রতি কেজি ডালের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, আমাদের দেশে যে ডাল আমদানি হয় সেগুলোর বেশির ভাগই আসে অস্ট্রেলিয়া থেকে। অস্ট্রেলিয়ায় দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশেও বেড়েছে।

গতকাল রাজধানী ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি অস্ট্রেলিয়ান মসুরের ডাল বিক্রি হয় ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যা বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। দেশী ডাল হিসেবে পরিচিত সরু দানার মসুর ডাল গতকাল ১১০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হলেও এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৯৫ থেকে ১১০ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে বছরে মসুর ডালের চাহিদা প্রায় পাঁচ লাখ টনের মতো। গেল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মসুর ডাল আমদানি হয়েছে দুই লাখ ৬১ হাজার টন। আর দেশে উৎপাদিত হয়েছে দুই লাখ ৫১ হাজার টন। ফলে চাহিদার চেয়ে একটু বেশিই ছিল সরবরাহ।

অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি না হলেও লাগাম হারিয়েছে ভোজ্যতেলের দাম। গেল এক মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা। গতকাল খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১১০ থেকে ১১২ টাকায়। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি পাম অয়েল গতকাল বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।

ঢাকার বাজারে গতকাল দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। এ ছাড়া পাকিস্তানি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, মিসরের পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা এবং চায়নার পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। পাশাপাশি পাকিস্তানি কক মুরগি ২১০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৮০ টাকা, দেশী মুরগি ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। গরুর গোশত প্রতি কেজি ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকা এবং খাসির গোশত ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা ডজন এবং দেশী মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালিদরে।

গতকাল বাজারে প্রতি কেজি মলা মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, তাজা পুঁটি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৬৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশী চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন