ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ

গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত জাতিসংঘ

ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলের ভারী বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় গাজা উপত্যকায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার দিনের শেষ নাগাদ গাজায় বাস্তুচ্যুতি মানুষের সংখ্যা ২৪ ঘন্টা আগে প্রদত্ত পরিসংখ্যান থেকে আরো ৭৫ হাজার বেড়ে এই সংখ্যা ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ জনে পৌঁছেছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলা মূলত শনিবার ফিলিস্তিনি হামাস যোদ্ধাদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ফল।ইসরায়েল ২৩ লাখ লোকের ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে এই মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, হামাসের হামলায় ১,২০০ ইসরায়েলির মৃত্যু হয়েছে, দেশটির ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।

এদিকে গাজায় ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিমান ও কামান হামলার অব্যাহত অভিযানে এক হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ওসিএইচএ জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুত মানুষের দুই-তৃতীয়াংশ প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের সমর্থনকারী জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় চেয়েছেন। আরও প্রায় ১৫ হাজার লোক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পরিচালিত স্কুলে পালিয়ে গেছেন, যখন ১ লাখের বেশি গাজা শহরের আত্মীয়, প্রতিবেশী ও একটি গির্জা এবং অন্যান্য সুবিধার দ্বারা আশ্রয় নিচ্ছেন।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, শনিবারের হামলার আগে ছিটমহলের প্রায় ৩,০০০ মানুষ ইতোমধ্যে মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ওসিএইচএ গাজার গণপূর্ত ও আবাসন মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা উদ্ধৃত করে বলেছে, বোমা হামলা গাজায় কমপক্ষে ২,৫৪০টি আবাসন ইউনিট ধ্বংস করেছে বা বসবাসের অযোগ্য করে দিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, আরও ২২ হাজার ৮৫০টি আবাসন ইউনিট মাঝারি থেকে ছোটখাটো ক্ষতি হয়েছে। জাতিসংঘের সংস্থাটিও ইসরায়েলি বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য ধ্বংসের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, দশ লাখেরও বেশি লোকের পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধাগুলো বিমান হামলার শিকার হয়েছে। রাস্তায় কঠিন বর্জ্য জমেছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। সূত্র: বাসস

সংবাদটি শেয়ার করুন