৩৮ বছর বয়সের মো: সোরাব মিয়া। চার ভাই এর মধ্যে সে দ্বিতীয়। পরিবারের মধ্যে সে ছিল সবার থেকে আলাদা। ছোট বেলা থেকেই সে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতো। এক পর্যায়ে জীবিকার তাগিদে আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় সে সৌদি আরবে আসেন। সেখানে কর্মদক্ষতার দ্বারা ভালো কাজ করার সুবাদে তার ৩ ভাইকে সেখানে নিয়ে যায়। তারা সেখানে নিজ ব্যবসা গড়ে তুলায় বদলাতে থাকে তাদের অবস্থাও।
গত প্রায় ১০ দিন পূর্বে সোরাব সেখানে ব্রেইন স্ট্রোক করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা ১০ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে মঙ্গলবার রাতে তাকে বিদায় নিতে হলো এই মায়াভরা পৃথিবী থেকে না ফেরার দেশে।
তার এই অসময়ে মৃত্যুতে এক এক করে নিভে গেলো সকল স্বপ্ন । তার এই অসময়ে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না তার স্ত্রী, সন্তান,পিতা মাতা ভাই আর আত্মীয় স্বজনরা। সোরাব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের সিতু মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সোরাবের মৃত্যু হওয়ার বিষয়টি সেখান থেকে তার ভাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছান। এদিকে তার এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার স্ত্রী, ২ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে।
নিহতের চাচাতো ভাই মো: আব্দুল কাদির জানায়, হঠাৎ করে গত ১০ দিন আগে বাসার মধ্যে ব্রেইনস্ট্রোক করে। তাৎক্ষণিকভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সেখান একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় সৌদি সময় রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন ব্রেইনস্ট্রোক হওয়ার আগের দিন তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছে। সে জানায় আগামী ৪ মাসের মধ্যে দেশে আসছেন। বাড়ির কিছু কাজ রয়েছে সে নিজে থেকে ওইসব কাজ শেষ করবে। পরিবারের সদস্যদের কোন প্রকার চিন্তা না করতে বলেন। এদিকে তার আসার খবরে স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারের লোকজনরা খুবই খুশি। কিন্তু সে খুশি আর ধরে রাখতে পারেনি। এরইমধ্যে বিষাদে পরিণত হয়ে উঠে।
নিহতের চাচা মো: শেরআলী মিয়া বলেন, আমাদের এই বাড়িতে সে খুবই একজন ভালো ছেলে ছিল। ছোট বড় সব্রা সাথে ভালো আচরন করতো। সব সময় চেষ্টা করেছে মানুষের উপকার করতে। এভাবে চলে যাবে তা কখনো ভাবতে পারি নাই।