ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উচ্চশিক্ষার ভর্তিতে সহায়তার আবেদনের সময় বাড়ল

উচ্চশিক্ষার ভর্তিতে সহায়তার আবেদনের সময় বাড়ল

স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ভর্তিতে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেওয়ার আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রার্থীরা আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। আজ রোববার ছিল প্রথম দফা আবেদনের শেষ দিন। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে সময় বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আনোয়ার হোসেন সোহাগ সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি সহায়তা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ, মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত স্নাতক (পাস ও অনার্স/ সমমান) পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তি সহায়তা নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা দেওয়ার অনলাইনে আবেদনের সময় আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

উচ্চশিক্ষার ভর্তিতে সহায়তার আবেদন: এর আগে ৭ আগস্ট থেকে এ সহায়তা পেতে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। যা ৭ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। এরমধ্যে এতে আরেক দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি সহায়তা পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত লিংকে www.eservice.pmeat.gov.bd/admission প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণ ভর্তি সহায়তা প্রদান নির্দেশিকা-২০২০ অনুসারে ২০২৩-২৪ অর্থবছর ভর্তি সহায়তা দেওয়া হবে। গত ১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে শিক্ষার্থীদের ভর্তি সহায়তা দেবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসায় স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের (অনার্স ও পাস কোর্স) ভর্তি হওয়া অসচ্ছল মেধাবী শি
ক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটের ভর্তি সহায়তা সেবা বক্সে আপলোড করা ফরম ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে শিক্ষার্থী যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছেন, সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিভাগীয় প্রধানের কাছ থেকে সুপারিশ নিয়ে আবেদন করতে হবে।

যারা আর্থিক সহায়তার জন্য যোগ্য হবে:

১) জাতীয় বেতন স্কেলে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের সব কর্মচারীর সন্তান।

২) যেসব শিক্ষার্থীর বাবা-মা অভিভাবকের বাৎসরিক আয় দুই লাখ টাকার কম।

৩) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম শিক্ষার্থী, ভূমিহীন পরিবারের সন্তান ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সন্তান।

৪) অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানের সন্তান।

৫) প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সন্তান।

৬) গণমাধ্যমে প্রকাশিত/প্রচারিত অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রমাণ হিসেবে যা লাগবে

৭) আর্থিক সহায়তা পেতে আবেদনপত্রের সঙ্গে অভিভাবকের অফিস প্রধানের দেওয়া বেতন গ্রেডের প্রত্যয়ন সংযুক্ত করতে হবে।

৮) অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিভাগীয় প্রধানের মর্মে প্রত্যয়ন সংযুক্ত করতে হবে।

৯) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম শিক্ষার্থী, ভূমিহীন পরিবারের সন্তান ও নদী ভাঙন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সন্তান, অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানের সন্তানদের ভর্তি সহায়তা পেতে অগ্রাধিকার প্রাপ্তির প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে।

১০) অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ‘শিক্ষার্থী মেধাবী মর্মে’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত থাকবে হবে।

১১) আবেদনকারী সর্বশেষ যে শ্রেণি বা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তার সত্যায়িত নম্বরপত্র সংযুক্ত করতে হবে।

১২) ভর্তি সহায়তার আবেদনের সঙ্গে সব শিক্ষার্থীকে সর্বশেষ শ্রেণির পরীক্ষার সত্যায়িত নম্বরপত্র সংযুক্ত করতে হবে।

যে পরিমাণ শিক্ষার্থী এ সহায়তা পাবেন: প্রত্যেক উপজেলা বা শিক্ষা থানা এলাকায় প্রতি শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি বা সমমানের পর্যায়ে পাঁচজন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে সর্বোচ্চ দুইজন করে এ শিক্ষা সহায়তা পাবেন। স্নাতক ও সমমানের পর্যায়ে প্রতি উপজেলা বা শিক্ষা থাকা এলাকায় প্রতি শিক্ষাবর্ষে পাঁচজন শিক্ষার্থী এ সহায়তা পাবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন