ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালতে মামলা করায় মারধরে অভিযোগ

আদালতে মামলা করায় মারধরে অভিযোগ

ভোলার চরফ্যাশন আদালতে মামলা করায়,ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী ভিকটিমের বাড়িতে হামলা করে মারধর, বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে আমজাদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আমজাদ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন ৩নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ছাদেক মোল্লার ছেলে।

কিশোরীর বাবা কামাল হোসেন জানান , স্কুলে আসা যাওয়ার পথে আমজাদ ১৪ বছরের কিশোরীকে উত্যক্ত করে আসতো। একসময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে আমজাদ।

এরই মধ্যে ওই কিশোরী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যদের মধ্যস্থতায় গত দেড় বছর আগে বিনা কাবীনে কিশোরীকে বিবাহ করেন আমজাদ। বিয়ের কিছুদিন পর অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী কন্যা সন্তানের জন্মদেন।

কন্যা সন্তান জন্মের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

পরে স্থানীয় গণ্যমান্যদের সাথে পরামর্শ করে গত রবিবার (২৭আগস্ট) আমজাদ সহ আরো ৪ জনকে আসামি করে ভোলা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন কিশোরীর বাবা। তিনি আরো জানায়, শুক্রবার শশীভূষণ থানা পুলিশ মামলার তদন্ত করে যাওয়ার পর, আসামিরা অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে আমি সহ আমার মেয়েকে বেধরক পিটিয়ে বসত ঘর ভাঙচুর করে নগদ ৭০ হাজার টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এদিকে অভিযুক্ত আমজাদ উল্টো অভিযোগ করে বলেন,তারও আমার বসত ঘর ভাঙচুর করেছে।

তবে স্থানীয়রা বলছেন ভিন্ন কথা,সালাউদ্দিন মৃধা নামের এক প্রতিবেশী জানান,আমজাদ গংরা পরিকল্পিতভাবে আগে তার নিজের বসতঘর ভেঙ্গে,পরে ভিকটিম কিশোরী ও তার বাবা কামাল হোসেনসহ আরো কয়েকজনকে মারধর,ও বসতঘর ভাঙচুর করে টাকা পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান আমজাদ গংরা দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে হামলা চালিয়েছে।

শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন