ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দলে ফিরলেন বিজয়, বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন এবাদত!

দলে ফিরলেন বিজয়, বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন এবাদত!

জ্বরের কারণে দলের সঙ্গে এশিয়া কাপ মিশনে অংশ নিতে পারেননি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে লিটন দাস। পরিস্থিতি বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত তার পরিবর্তে স্কোয়াডে জায়গা পেলেন আরেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়কে। অন্যদিকে হাঁটুর এই চোটের কারণে এবাদতের বিশ্বকাপ স্বপ্ন ভেঙে চুরমার।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে শ্রীলঙ্কায় উড়ে যান বিজয়। প্রাথমিক স্কোয়াডে না থাকা বিজয় কেন হুট করে এশিয়া কাপের মূল স্কোয়াডে? বুধবার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান টুর্নামেন্ট পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, উইকেট কিপিংয়ের বিবেচনায় মূলত বিজয়কে উড়িয়ে আনা হচ্ছে।

সাকিব বলেন, ‘যদি মুশফিক ভাইয়ের কিছু হয় বিশেষ করে খেলার সময়; কনকাশন হতে পারে, ছোট খাটো ইনজুরি হতে পারে। দেখা যাচ্ছে ওইদিন উইকেট কিপিং করতে পারবে না। যেহেতু একটা নিয়ম আছে সেকেন্ড উইকেট কিপার থাকলে সেও উইকেট কিপিং করতে পারবে। তাই আমাদের এই গ্যাপগুলো পূরণ করার জন্য বিজয়কে দলে নেয়া।’ সাকিব আরও বলেন, ‘যেহেতু আমাদের আরেকজন অতিরিক্ত উইকেট কিপার নেই, তাই আমাদের জন্য এটা একটা বিষয়। আর লিটনও টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে, বিজয়ও টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে।’

কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছেন লিটন। জ্বর কমলেও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে না উঠায় এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছেন সহ-অধিনায়ক লিটন। তার পরিবর্তেই ডাক পেয়েছেন বিজয়। এশিয়া কাপের প্রাথমিক স্কোয়াডেও ছিলেন না বিজয়। তবে বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে ক্যাম্প করছিলেন তিনি।

এবাদতের বিশ্বকাপ স্বপ্ন ভেঙে চুরমার:

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার এবাদত হোসেন চৌধুরী। শুরুতে দেশের মাটিতেই চলেছিল চিকিৎসা। কিন্তু চোট সেরে না ওঠায় বাড়তে থাকে দুশ্চিন্তা। সেই দুশ্চিন্তাই যেন সত্য হলো। অপারেশন থিয়েটারে যাবার খবর এসেছে খানিক আগে।

জানা গেছে, হাঁটুর এই চোটের কারণে বিশ্বকাপটাই মিস করতে চলেছেন এবাদতে। অপারেশনের পর পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের ক্রিকেট থেকে বাইরে থাকতে হবে তাকে। যার অর্থ বিশ্বকাপে নিশ্চিতভাবেই এই পেসারের সার্ভিস মিস করবে বাংলাদেশ।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘আজ এবাদতের অপারেশন হচ্ছে। এরপর রিহ্যাব আছে, সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে লম্বা সময় লাগতে পারে।’ তবে ঠিক কতদিন পর তাকে আবার মাঠে দেখা যাবে তা নিশ্চিত করেননি প্রধান নির্বাচক। সাধারণত এমন ইনজুরির কারণে ৬ থেকে ৮ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয় খেলোয়াড়দের।

এর আগে ফেসবুকে এবাদত নিজেই জানিয়েছেন তার অস্ত্রোপচারের কথা। জীবনে প্রথমবার অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে এবাদত সকলের দোয়া চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, ঘরের মাঠে আফগান সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে চলাকালে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন এবাদত। আফগানিস্তানের ইনিংসের ৪২তম ওভারের তৃতীয় বলটি করার সময় লাফ দিতে গিয়ে আম্পায়ার গাজী সোহেলের কাঁধে বাড়ি খায় এবাদতের হাত। আর এমন ধাক্কা খেয়ে রানআপে নিজেকে ঠিকঠাক থামাতে পারেননি। ফলে পেছন ঘুরে পড়ে যান মাটিতে, তখনই পায়ে আঘাত পান এবাদত। এরপর তাকে ৪৮ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কিন্তু এই সময়ে চোট গুরুত্বর অনুধাবন করতে পেরে এই পেসারকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করেন ফিজিও। ধারণা করা হয়েছিল, এশিয়া কাপ দিয়ে আবারও মাঠে ফিরবেন তিনি। তবে পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় তাকে নিয়ে আর ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।

সংবাদটি শেয়ার করুন