লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামির হয়ে অভ্যর্থনার দিনও তাকে নাটমেগ (দুই পায়ের মাঝ দিয়ে বল পাঠানোর কৌশল) করতে দেখা যায় ছেলে থিয়েগোকে। বয়স কম হলেও যে ফুটবল নিয়ে তার চর্চাটা চলমান, সেটিই বোঝা গেছে। নির্দিষ্ট ক্লাবের সঙ্গে তারকা ফুটবলারদের চুক্তির সুবাদে তাদের সন্তানদের জুনিয়র দলগুলোতে সুযোগ পেতে দেখা যায়। এবার তেমনই একটি সুযোগ পেতে যাচ্ছে মেসির বড় ছেলে থিয়েগো।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আর্জেন্টাইন মহাতারকার বর্তমান ঠিকানা ইন্টার মায়ামির ফুটবল একাডেমিতে অনূর্ধ্ব-১২ দলের হয়ে থিয়েগো-কে খেলতে দেখা যাবে। এদিকে ইউরোপ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সকারে নাম লেখানো মেসি দারুণ ফর্ম দেখিয়ে চলেছেন। মাঠে ও বাইরে তাই মেসি রয়েছেন স্বস্তিতে, যেখানে উচ্ছ্বাসে মাততে দেখা যায় তার পুরো পরিবারকেও। যা দীর্ঘ সময়ের জন্য মেসি যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ফ্লোরিডার ক্লাব মায়ামির ফুটবলেও ছেলেকে যুক্ত করতে চলেছেন এই তারকা ফরোয়ার্ড।
টিওয়াইসি স্পোর্টস বলছে, কয়েক ঘণ্টা আগে ফ্লোরিডার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্লাবটি ১০ বছর বয়সী থিয়েগোকে ফুটবল একাডেমির অনূর্ধ্ব-১২ দলের প্রজেক্টে রাখার কথা জানিয়েছে। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের বড় ছেলে ফ্লোরিডার ব্লু ট্রেনিং সেন্টারে প্র্যাকটিস করবে। ঠিক তার পাশেই জেরার্দো টাটা মার্টিনোর অধীনে অনুশীলন করেন মেসি, সার্জিও বুসকেটস ও জর্দি আলবারা। তবে ইন্টার মায়ামি জার্সিই প্রথমবার গায়ে তুলবে না থিয়েগো, এর আগে বার্সেলোনায় ৬-৮ বছর বয়সীদের নিয়ে বার্সা এসকোলা প্রজেক্টের অধীনেও সে ট্রেনিংয়ে অংশ নিয়েছিল। সেই লা মাসিয়া দ্য বার্সেলোনার ট্রেনিং মেথড অনুসারে এক সময় ইতিহাস গড়েছিলেন মেসি। ২০২০ সালে ব্লোগ্রানা দলটির হয়ে থিয়েগো দারুণ এক গোল করেছিল, যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
প্রসঙ্গত, মায়ামি একাডেমি লা গার্জাস প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে। এর কয়েক মাস আগেই ডেভিড বেকহামদের ক্লাবটি যাত্রা শুরু করেছিল। ওই একাডেমি থেকে পরবর্তীতে বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চি, ডেভিড রুইজ এবং নোয়াহ এলেনদের মতো তরুণ প্রতিভা উঠে আসে।