ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীনগরের আর্দশ দুগ্ধ খামার এখন সবার আর্দশ

শ্রীনগরের আর্দশ দুগ্ধ খামার এখন সবার আর্দশ

শ্রীনগরে বিক্রমপুর আর্দশ দুগ্ধ খামার সমবায় সমিতি রোজ উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৪শ’ লিটার গরুর দুধ। স্থানীয় ৩০ জন খামারির আদলে গড়ে উঠেছে এই সমিতি। এর সদস্য সংখ্যা ৩৫ জন। সমিতির পক্ষ থেকে প্রতি লিটার দুধ ক্রয় করা হচ্ছে ৬৫ টাকা ৫০ পয়সা করে।

সংশ্লিষ্টজনরা মনে করছেন সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে সমিতির সার্বিক উন্নতির পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন তারা।

এতে দুধ উৎপাদনেও খামারিদের আগ্রহ বাড়বে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রাঢ়িখালের বালাশুর, বউবাজার ও ভাগ্যকুল এলাকায় বেশকিছু দুগ্ধ খামার ও গরু মোটা তাজা করণের মিনি খামার গড়ে উঠেছে। দুগ্ধ খামারের পাশাপাশি প্রায় খামারেই দুধের গাভি পালন করছেন উদ্যোক্তারা।

স্থানীয়রা জানান, খোলা বাজারে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে গবাদি পশু পালন ও দুধ উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে “বিক্রমপুর আর্দশ দুগ্ধ খামার সমবায় সমিতির মাধ্যমে সহজে দুধ বাজারজাত করতে পেরে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন।

খামারি নূর মো. ভূঁইয়াকে সভাপতি ও মো. রফিক বেপারীকে সাধারণ সম্পাদক করে সমিতির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে খামারিরা নিজস্ব খামারের দুধ সমিতির মাধ্যমে বাজারজাত করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সমিতির নিয়ম অনুযায়ী প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে নগদ প্রদান ৬৫ টাকা ৫০ পয়সায়। এছাড়া দুধের লিটার প্রতি ২ টাকা সমিতির কাছে সঞ্চয় থাকছে।

বাৎসরিক হিসাব অনুসারে সমিতির সদস্যরা সঞ্চয়ের টাকা তুলে নেন। মো. রাজু নামে এক খামারি বলেন, খামারে উৎপাদিত গরুর দুধ সমিতির মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেও আমাদের দুধ নিয়ে কোন চিন্তায় পড়তে হয়না।

বিক্রমপুর আর্দশ দুগ্ধ খামার সমবায় সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জিএম খালিদ বলেন, মোট ৩০টি খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪শ’ লিটার দুধ সংগ্রহ হচ্ছে। এসব দুধ নিজস্ব পরিবহণে করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হচ্ছে। তবে দুধের গুনগতমান নির্নয়ের মেশিনসহ প্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জামাদীর সংকট আছে।
এগুলো সংগ্রহ করা গেলে সমিতি উপকৃত হবে।

তিনি আরো বলেন, দুধ থেকে ক্রীম আলাদা করে দুগ্ধজাত বিভিন্ন ধরনের খাবার উৎপাদন করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় মেশিন বরাদ্দের জন্য উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, সমিতিটি চালু হওয়ার পর বেশ কয়েকবার পরির্দশনে গিয়েছি।

এর আগে লাইভ স্টোক ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের ১টি ক্রীম সেপারেটর মেশিন প্রদান করা হয়। এতে সমিতি লাভবান হচ্ছে। সমিতির সংশ্লিষ্টগণ লেক্টোমিটার মেশিনের জন্য আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ খামার রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় খামারে দুধের গাভি পালন করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন