শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বনাথে গৃহবধুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

বিশ্বনাথে গৃহবধুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলায় এক গৃহবধুকে তোলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ করায় তার স্বামীসহ স্বজনদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার (২০ আগষ্ট) সকালে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (২২ আগষ্ট) বিশ্বনাথ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং ১৭)। তবে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় এখনো কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ।

মামলার বাদীর অভিযোগ ঘটনার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন আসামিদের গ্রেফতার না করায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।

মামলা ও ভিকটিম সুত্রে জানা যায়, বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী (৩৮) একজন ডায়াবেটিক আক্রান্ত রোগী। তাকে বেশ কিছুদিন যাবত প্রতিবেশী কয়েকজন বখাটে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। গত রোববার (২০ আগষ্ট) সকালে হাঁটাহাঁটি করার জন্য বাড়ির সামনের রাস্তায় বেরুলে তার প্রতিবেশী মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র এমাদ উদ্দিন সহ আরও চারজন সহযোগী পথরোধ করে তোলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি জঙ্গলে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায়। পরে তার স্বামী তাকে খোঁজাখুঁজি করে জঙ্গল থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন।

এরপর ভিকটিমের স্বামী ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে ধর্ষণকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ঘরে ভিকটিমের স্বামী-সন্তানদের উপর হামলা চালায়। হামলায় ভিকটিমের স্বামীর মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথা ফেটে যায় ও তার এক ছেলের হাত ভেঙ্গে যায়। এসময় হামলাকারীরা তার মেয়ের শ্লীলতাহানি ঘটায়। এছাড়াও হামলায় আরও কয়েকজন বিভিন্ন ভাবে আহত হয়েছেন। তারা সবাই ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী নিহত

ধর্ষণ ও হামলার ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আসামিরা হলেন- উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের তালুকজগত গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র এমাদ উদ্দিন (২৩) ও এখলাছ উদ্দিন(২৭), মৃত আমিন উদ্দিনের পুত্র ইসলাম উদ্দিন (৩৫), মহিম উদ্দিন(৩০), আনছার উদ্দিন (২৫),শামছুল হকের পুত্র রেজাউল হক, গিয়াস উদ্দিনের পুত্র রায়হান আহমদ, সমুজ মিয়ার পুত্র শাহিন আহমদ (১৯), মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র সামছুল হক( ৪২), মৃত ওয়াজিদ উল্লার পুত্র ফয়জুল হক(৪৫), মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র গোলাম রব্বানী (৫০), একই উপজেলার বশিরপুর গ্রামের ছমির আলীর পুত্র আবু সুফিয়ান (১৯), আবু সাঈদ (২৫) ও আব্দুল আহাদের পুত্র আব্দুল করিম (২০)।

মালমার বিষয়টি স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার ওসি তদন্ত মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, মামলার ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন