শ্রীনগর উপজেলার ছনবাড়িতে জমে উঠেছে আখের বিকিকিনি। বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের ছনবাড়ি চৌরাস্তার পশ্চিম দিকে সড়কের পাশে স্থানীয় চাষীরা আখের মিনি আড়তে উৎপাদিত আখ কেনাবেচা করছেন।
তবে অন্যান্য বছরের তুলানায় এবার ভরা মৌসুমে আখের আমদানি কিছুটা কম। এতে দাম কিছুটা বেশী হলেও আখের মান খুবই ভালো এমনটাই জানিয়েছে এখানে আসা পাইকরারা।
আড়ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ, দোহার, ফরিদপুর, নবাবগঞ্জসহ মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাইকার ও খুচরা আখ ব্যবসায়ীরা আসছেন পছন্দের আখ সংগ্রহ করতে। পরিপক্ক রসালো প্রতি ১০০ পিস আখ বিকিকিনি হচ্ছে ১২০০-১৮০০ টাকা করে। আড়তদাড়ি রাখা হচ্ছে শতকরা ৫ টাকা। গড়ে প্রতিদিন প্রায় লাখ টাকার আখ কেনাবেচা হচ্ছে এখানে। স্থানীয় হাটবাজারে খুচরাভাবে এসব আখ কেনাবেচা হচ্ছে ২০-৩০ টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ছনবাড়ি-হরপাড়া সড়কের পাশে সাড়ি সাড়ি আখের আটি রাখা হয়েছে। ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে দর কষাকষি হচ্ছে। ২৫টি আখে আটি বাঁধা হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার আখ কেনাবেচা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব এলাকার আটপাড়া, তন্তর, বীরতারা, কুকুটিয়া, ষোলঘরের খৈয়াগাঁও ও উমপাড়ায় বিভিন্ন জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। দুই ফসলি জমিতে আলুর সাথি ফসল হিসেবে আখের আবাদ করা হয়।
খুচরা আখ বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক জানান, আখের আমদানী কম থাকায় দাম কিছুটা বেশী। রিষ্টপুষ্ট ভালো মানের ৫২৭ জাতের আখের পিস বিক্রি করছি ৩০ টাকায়।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, শ্রীনগরে প্রায় ৩শ’ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। এই চাষে সরকারিভাবে কোন প্রণোদনা আসে না। এই অঞ্চলের স্থানীয় কৃষকরা জমিতে আলুর সাথি ফসল হিসেবে আখের চাষাবাদ করেন।
আখ চাষী মো. রহমান, খলিল শেখ, ইদ্রিস, মো. দবিরউদ্দিনসহ অনেকেই বলেন, আশ্বিন ও কার্তিক মাস পর্যন্ত ক্ষেতের আখ বিক্রি করবেন। আখ চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
মো. আজিজুল হোসেন ভান্ডরী বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় শ্রীনগর ছনবাড়ি চৌরাস্তায় এবারও অস্থায়ীভাবে মিনি আখের আড়তে স্থানীয় আখ চাষীরা তাদের জমির উৎপাদিত আখ বিক্রি করছেন। এখন ২৭ জাতের আখ বেশী কেনাবেচা হচ্ছে। আগামী মাস থেকে আড়তে অমৃত জাতের আখ উঠবে।
আনন্দবাজার/শহক