মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ছয় জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ আগস্ট) জবি ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নীতি আদর্শের পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে এই ছয় জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতিপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলেন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ঈশা, পরিসংখ্যান বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জারফ তাজওয়ার, চারুকলা বিভাগের মো. মাসুম বিল্লা, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শফিকুল ইসলাম আপন, বাংলা বিভাগের আফিয়া আক্তার এবং দর্শন বিভাগের হাসান ইসলাম সান।
অব্যাহতির বিষয়ে হাসান ইসলাম সান বলেন, আমি এর আগে পাবনায় জেলায় ছাত্রলীগ করতাম। পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে কাজ করি আকতার ভাইয়ের সাথে। আমার পরিবারকেও আওয়ামী পরিবার হিসেবে সবাই চিনে। আমি মনে করি সাঈদী একজন ইসলামিক স্কলার। তাই ধর্মীয় দিক থেকে আমি তাকে নিয়ে পোস্ট করেছি। এতে আমাকে বহিষ্কার করলে তা দু:খজনক।
তবে শফিকুল ইসলাম আপন বলেন, আমি কিছু বুঝতে পারছি না, কেন বহিষ্কার করা হয়েছে। কোন কিছু না বলে এভাবে হঠাৎ কেন বহিষ্কার আদেশ দিয়েছে নেতৃবৃন্দরাই ভালো জানেন।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের জন্য তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চিহ্নিত রাজাকার দেশদ্রোহীদের পক্ষে কেউ পোস্ট দিবে এটাতো বড় ধরনের অপরাধ এবং সংগঠনের জন্য শৃঙ্খলা পরিপন্থী।
জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নীতি আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে তাদেরকে অব্যবহতি দেওয়া হয়েছে। সাঈদী রাজাকার, সে যুদ্ধাপরাধী ছিল। তাকে নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী স্ট্যাটাস দিবে কেন? এরকম করলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।