দেশে আমদানি পণ্যের যে পরিমান ব্যয় হয়ে থাকে সেই তুলনায় রফতানি আয় বাড়ছেনা। তবে যতটুকু রপ্তানি আয় বেড়েছে তার পাশাপাশি বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে জুলাই-নভেম্বর সময়ে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৬৮ কোটি ডলার বা ৫৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা।
তথ্য বলছে, জুলাই-নভেম্বর সময়ে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৬৬৮ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল এর চেয়ে কিছুটা কম, ৬৬৫ কোটি ২০ লাখ ডলার।
গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পুরো সময় জুড়ে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫৪৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমেছে। জুলাই-নভেম্বর সময়ে এ খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৩৬ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল এর চেয়ে একটু বেশি; ১৪৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
জুলাই-নভেম্বর বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৪২ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এই ঘাটতি ছিল ৬৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অথচ আগস্ট মাস শেষেও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক ২৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।
এই পাঁচ মাসে সামগ্রিক লেনদেনের ভারসাম্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল আরও বেশি। ৮৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
আনন্দবাজার/এফআইবি