ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুবিতে জাতীয় শোক দিবস পালন

কুবিতে জাতীয় শোক দিবস পালন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শোক র‌্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদত বাষির্কী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের নেতৃত্বে শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জাদুঘর ঘুরে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, বিভাগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাখা ছাত্রলীগ ও কুবি সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন।

সকাল ১১ টায় প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নং কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহা: হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় ও শোক দিবস কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আহসান উল্যাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামান। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার যে ষড়যন্ত্র সেটি ১৫ই আগস্ট কিংবা তাৎক্ষণিক নয়। বরং অনেকদিন ধরেই এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও একাধিকবার হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু ঘাতক গোষ্ঠী সফল হতে পারে নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একক নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বহুদূর এগিয়েছে। সমগ্র পৃথিবী তার সাক্ষী।

তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষক। শিক্ষক হিসেবে আমাদের প্রধান কাজ গবেষণা করা। আমরা সুবিধাভোগী হতে চাইনা। যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন আপনাদের ষড়যন্ত্র টিকিবে না। যারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে বাধা হবে তাদের শক্তভাবে দমন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রমোশনের জন্য গবেষণা লাগবে। কেউ নকল গবেষণা নিয়ে আসবেন না। যারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক আছেন, আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি এমন কোন কাজ করবেনা যার জন্য সুনাম ক্ষুন্ন হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কখনো কারো কাছে মাথানত করেন নাই। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে কোনো কালিময় অধ্যায় নাই। তার মতো এমন শাসক পৃথিবীতে আর জন্মগ্রহণ করে নাই। ১৫ আগস্ট আমাদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হওয়ার শক্তি যোগাবে। ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয় , তারা বঙ্গবন্ধুর রক্তকে হত্যা করতে চেয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর কন্ঠস্বরকে হত্যা করতে । যেই কারণে শিশু শেখ রাসেল থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যকে তাঁরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। কারণ তাঁরা তখন দেশে ছিলেন না । আজ এই কারণেই আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তকে এখনো ধারণ করতে পারছি। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি। কারণ তার করে দেওয়া এই দেশে আমরা বসবাস করতে পারছি। সবার কাছে আমার উদাত্ত আহ্বান যদি সত্যিকার অর্থে আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে থাকি। তাহলে আমাদের যার উপর যা দায়িত্ব অর্পণ করা রয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করবো।

উল্লেখ্য, আলোচনা সভা শেষে কেন্দ্রীয় মসজিদে যোহরের নামাজের পর ‘৭৫ এর ১৫ ই আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পারিবারের সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনায় দোয়ার আয়োজন করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন