গাজীপুর কালিয়াকৈরে রাঁতে একটি সড়কে হঠাৎ করেই বড় সুড়ঙ্গের সৃষ্টি। এ ঘটনার প্রায় ২০ ঘন্টা পেরিয়ে গতকাল শনিবার বিকেল গড়িয়ে গেলেও কোনো খোঁজ-খবর রাখেনি সংশিষ্ট সড়ক বিভাগ। ফলে সুড়ঙ্গের পাশ দিয়ে আতঙ্কে ও ঝুঁকিতে চলাচল করছে যানবাহন। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে রাঁতে বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেশি বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা, দেশ উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাপক সড়ক যোগাযোগের উনন্নয়ন করেছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় কালিয়াকৈর-ধামরাই সড়কটিও উন্নয়ন কাজ করেছে গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ। যদিও এ সড়ক উন্নয়ন কাজে সড়ক বিভাগের নানা অনিয়মের অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারপরও এ উপজেলা ছাড়াও ওই সুন্দর সড়কটি দিয়ে চলাচল করে ঢাকা, ধামরাই, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুরের শ্রীপুরসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার হাজার হাজার যানবাহন। দিন দিন খুব বেশি ব্যস্ততম হয়ে পড়ছে সড়কটি। গত শুক্রবার রাঁতে হঠাৎ করেই উপজেলার শ্রীফলতলী এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড়ে সড়কটি ধসে প্রায় ৫-৬ ফুট সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়। ওইদিন রাতেই ওই সুড়ঙ্গে পড়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী। আশপাশের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন আহতরা। এরপর দুর্ঘটনা রোধে আহত মোটরসাইকেল আরোহী ও স্থানীয়রা ওই সুড়ঙ্গে বাঁশ, রশি ও লাল নিশান উড়িয়ে দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটির উন্নয়ন কাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় সেখানে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে। ওই সুড়ঙ্গ হওয়ার প্রায় ২০ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও গতকাল শনিবার বিকেল গড়িয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগ কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে ওই সুড়ঙ্গের পাশ দিয়ে আতঙ্কে ও ঝুঁকিতে চলাচল করছে ছোট-বড় যানবাহন। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে রাঁতে বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেশিসহ জনদুর্ভোগের কথাও জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তবে অতিদ্রুত সুড়ঙ্গ মেরামতের দাবী জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় মিনহাজ হোসেন ও হুমায়ূন আহমেদ ইমু জানান, প্রথমে সেখানে একটা ট্রাক ফেঁসে যায়। দুর্ঘটনার আতঙ্কে সে ট্রাক থেকে কয়েকজন লাফিয়ে পড়ে। পরে গর্তটি বড় আকার ধারণ করে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়। এরপর দুর্ঘটনা এড়াতে সেখানে বাঁশ পুতে লাল নিশান দেওয়া হয়েছে। উজ্জল হোসেন অপর এক ব্যক্তি জানান, উন্নয়নের জন্য সরকার ব্যাপক বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদার জোগসাজোস করে কাজে অনিয়ম করে। ফলে এমন সমস্যা হচ্ছে, আর সুনাম নষ্ট হচ্ছে সরকারের। খুব দ্রুত সেখানে মেরামতের দরকার হলেও এখন পর্যন্ত সড়ক বিভাগের কেউ আসেনি।
গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী অভি আহম্মেদ সুজন জানান, ওই পুড়ঙ্গ বা গর্তের বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। তবে খুব তাড়াতাড়ি সেটা মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, আমরা পর্যবেক্ষণ করে বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানাবো। যাতে ওই ক্ষতিগ্রস্থ স্থানটি অতিদ্রæত মেরামত করা হয়।
আনন্দবাজার/শহক