ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুল পড়া কমাবে প্যারাসুট এ্যাডভান্ডস এক্সট্রা কেয়ার

প্যারাসুট এ্যাডভান্ডস এক্সট্রা কেয়ার ব্যবহারে কমবে চুল পড়া

সুন্দর ও স্বাস্থোজ্জ্বল চুলের অধিকারী হতে কে না চায়! দীঘল ঘন কালো চুলের আবেশে সজ্জিত হওয়ার সাধ জাগে প্রতিটি নারীর। ঘন কালো চুলের স্নিগ্ধতার মায়াজাল দৃষ্টি কাড়ে সকল মানুষের। কিন্তু কেশবতী কন্যার এই বিহ্বলতা দ্রুতই কেটে যায় যখন কোমল হাতের বিনুনীতে উঠে আসে এক গোছা চুল।

চুল পড়া আমাদের এখনকার দিনে একটি নিত্যনৈমত্তিক সমস্যা। দৈনন্দিন নাগরিক জীবনের ব্যবহার্য নানামুখী দূষণ ও বিভিন্ন উপাদান এই চুল পড়া সমস্যার জন্যে দায়ী। এই সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বারস্থ হওয়ার গণনা দিনকে দিন বেড়েই চলছে।

গবেষণায় দেখা যায়, একটি চুলের গড় আয়ু দুই-আট বছর। আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজিস্টদের মতে, প্রতিদিন প্রায় ৯০-১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবার চুল আঁচড়ানোর সাথে যদি ছয়টির বেশি চুল উঠে চলে আসে তাহলে আপনি চুল পড়া সমস্যার শিকার।

অধিকাংশ চুল পড়া সমস্যার প্রধান কারণই হলো ধূলা-বালি, ঘাম ও মাথার ত্বকে ময়লা জমে যাওয়া। কর্মজীবী নারীরা প্রায়শই দীর্ঘ সময় বাইরে কাজ করেন যার ফলে চুল প্রচুর ময়লা হয়। চুলের বাঁধার প্রক্রিয়াও এর জন্যে দায়ী। খুব টেনে চুল বাঁধা অথবা খোঁপা করা হলেও চুল পড়া সমস্যা শুরু হয়। গৃহকর্মীরা বাসায় থাকলেও এ সমস্যা থেকে মুক্ত নন। উনুনের তাপ এবং আর্দ্রতার মধ্যে কাজ করে তারা তাদের চুলের স্টেমের ক্ষতি ফেলে যা ফলাফল আসে চুল পড়া সমস্যা।

চুলের ত্বকের নানাবিধ পুষ্টির অভাব চুলগুলোর ফলিকল স্টেমগুলোকে দুর্বল করে তোলে। ফলিকল স্টেমগুলো চুলের গোঁড়াকে মজবুত করে প্রতিকূল পরিবেশে চুলকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। দুর্বল ফলিকল স্টেম চুল পড়া সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ।

এছাড়া, নানাবিধ শারীরিক সমস্যা থেকেও চুল পড়া শুরু হতে পারে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও থাইরয়েড সমস্যা চুল কোষের জীবনচক্র সমস্যা তৈরি করে। গর্ভবতী অবস্থায় এবং বাচ্চাদের জন্মের পর হরমোনাল ভারসাম্য পরিবর্তিত হয় বলে তখন মাথা থেকে চুল বেশি পড়ে।

প্যারাসুট এ্যাডভান্ডস এক্সট্রা কেয়ার কর্তৃক আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে নানাস্তরের মানুষ তাদের চুল সম্পর্কিত নানাবিধ প্রশ্নগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্র্যান্ডটির অফিসিয়াল পেজে তুলে ধরেছেন। এ প্রশ্নগুলোর অধিকাংশই ছিলো চুল পড়া সমস্যা নিয়ে। ক্যাম্পেইনটিতে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন একজন প্রসিদ্ধ ট্রাইকোলজিস্ট যিনি প্রশ্নগুলোর উপর আলোকপাত করে তার গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন।

মূলত, চুল সমস্যা রোধে পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে সুষম খাদ্য গ্রহণ ও সঠিক চুলের যত্ন নিলে পুনরায় চুল ফিরে পাওয়া সম্ভব। বাজারে পুষ্টিকর উপাদানসমৃদ্ধ বিভিন্ন চুলের তেল রয়েছে যা চুলের গোঁড়ার গুণাগুণ পুনরুদ্ধার করে এবং এর দৃঢ়তা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

তবে, বিভিন্ন ডাক্তারেরা আমলকি, মেথি এবং অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ চুলের তেল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন যা চুলকে অতিরিক্ত পুষ্টি জোগায়। এই পুষ্টিসমৃদ্ধ তেল শুধুমাত্র আপনার চুলকে আবরণই করবে না বরং দীর্ঘমেয়াদে চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে যে পুষ্টি প্রয়োজন তাও সরবরাহ করবে। এছাড়াও, এই ভেষজ উপাদানগুলো একটি নারীর প্রাত্যহিক কাজে চুলের যেই ক্ষতিসাধন হয় তা পূরণে সহায়তা করে। পাশাপাশি এটি মাথার ত্বকের আর্দ্রতা এবং শুষ্কতার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেয়।

তাই, চুলের যত্ন নিশ্চিতে চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহারের বিকল্প নেই। তবে, চুলে তেল দেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে যাতে আপনার মাথার ত্বকে এবং চুলের গোঁড়ায় সমস্ত পুষ্টি উপাদান পৌঁছাতে পারে। চুলের সুস্বাস্থ্য এবং গুণাগুণ বজায় রাখতে নিয়মিত তেল দেওয়ার অভ্যাস বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ তেল বাছাই করে সঠিক উপায়ে তেল প্রয়োগে মাত্র ৪৫ দিনেই চুল পড়া রোধ করা সম্ভব।

আনন্দবাজার/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন