ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীনগরে বালাশুরে মাছের মেলা

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বালাশুর চৌরাস্তার মোড়ে জমে উঠে মাছের মেলা। বিকাল ৪ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত পদ্মার রূপালী ইলিশ, চিংড়ি, রুই, কাতল, আইড়, বোয়াল, রিঠা, তাঁরা বাইন, বালিয়া মাছের কেনাবেচা হয় এখানে। এছাড়াও পাওয়া যায় আড়িয়ল বিলের ডাঙ্গার গজার, শোল, কৈ, শিং, মাগুরসহ মিঠা পানির হরেক রকমের মাছ।

ক্রেতা বিক্রেতাদের হাকডাকে বালাশুর চৌরাস্তার মাছের বাজারটি জমে উঠে। দিনের কয়েক ঘন্টায় ৪-৫ লাখ টাকার মাছ বিকিকিনি হচ্ছে। ফরমালিনমুক্ত নদীর তাজা মাঠ নিতে দূরদুরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষের ভিড় জমে বালাশুরে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রীনগর-দোহার আঞ্চলিক সড়কের রাঢ়িখাল ও ভাগ্যকুল দুই ইউনিয়নের মধ্যবর্তী সীমানায় বালাশুর চৌরাস্তা মোড়ের মাছের বাজারটির অবস্থান। সড়কের উত্তর পাশে মার্কেটের সামনে অল্প জায়গায় মানুষের ভিড়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাকডাকে মাছের বাজারটি সরব থাকে। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা পদ্মা নদী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার বিকাল হলেই বিক্রির জন্য হাজির হচ্ছেন। বাজারটিতে স্থায়ীভাবে প্রায় ২০ জন মাছ বিক্রেতা রয়েছেন।

এর বাহিরেও অন্যান্য জেলেরা এখানে মাছ বিক্রি করতে পারছেন। দেখা যায়, নদীর তাজা মাঝারি সাইজের চিংড়ির ভাগা (পরিমাণ অনুসারে) বিকিকিনি হচ্ছে ১২০০-৩০০০ হাজার টাকায়। সেই হিসাব অনুযায়ী প্রতি কেজি চিড়িংর মূল্য ধরা হচে।ছ ৭০০-৯০০ টাকা। এছাড়া মাঝারি সাইজের বালিয়ার ভাগা ১৫০০-২০০ টাকা। বালিয়ার কেজি দর পরিমান করা এর মূল্য ধরা হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা। পাঙ্কহাস, ইলিশ, আইড়সহ অন্যান্য মাছের দামও তুলনামূলক কমে বিক্রি হচ্ছে এখানে দাবী জেলেদের।

আমিত খান নামে এক ক্রেতা জানান, শ্রীনগর সদর এলাকা থেকে বালাশুর মাছের বাজারে এসেছি পদ্মা নদীর তাজা চিড়িংর খুঁজে। এসে পাওয়া গেছে পছন্দের চিড়িং মাছ। প্রায় ২ কেজি পরিমান চিড়িং ১৫০০ টাকায় কিনেছি।

আবুল হোসেন নামে একজন নিয়মিত ক্রেতা বলেন, বালাশুর মাছের বাজারে পদ্মা নদীর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। তবে এই মৌসুমে মাছের আমদানী অনেকাংশে কম হচ্ছে। তাই তুলনামূলক দাম একটু বেশী মনে হচ্ছে। তবে অন্যান্য বাজারের তুলনায় এখানে মাছের দাম কিছুটা কম। তিনি বলেন, নদীর মাছের পাশাপাশী বিলের ডাঙ্গার দেশী জাতের বিভিন্ন মাছও মিলছে এখানে।

ফটিক দাসসহ অন্যান্য মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলেন, স্থানীয় মাছের আড়ত ও জেলের কাছ থেকে মাছ সংগ্রহ করেন তারা। আন্যান্য হাট/বাজারের তুলনায় বালাশুর বাজারে কমদামে মাছ বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এখানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ে। নানা প্রজাতির মাছের জন্য বালাশুর মাছের বাজারটি দিনদিন ঐতিহ্যবাহী হয়ে উঠছে। দূরদুরান্ত থেকে প্রতিদিন মাছের জন্য অসংখ্য ক্রেতার আগমণ ঘটছে। প্রতিদিন গড়ে ৪ লাখ টাকার মাছ বিকিকিনি হচ্ছে এখানে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন