ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিদনির মৃত্যু রহস্য উন্মোচন ও দোষীদের বিচারের দাবীতি মানববন্ধন

ময়মনসিংহ শহরের কাঁচিঝুলী এলাকায় গত ৬ জুন রাতে রহস্যজনকভাবে নাসিরাবাদ কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তায়্যেবাতুন জিদনির মৃত্যু হয়েছে। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর মেয়ে তায়েবাতুন জিদনী শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর শিক্ষিকা হাসনা হেনার জ্যেষ্ঠ সন্তান। জিদনি থাকতো কাঁচিঝুলি নাসা টাওয়ারের হোষ্টেলে। নিজ কক্ষেই জিদনির অপমৃত্যু হয়।

মেধাবি শিক্ষার্থী জিদনির মৃত্যু রহস্য উন্মোচন ও দোষীদের বিচারের দাবীতি মানববন্ধন
ময়মনসিংহ শহরের কাঁচিঝুলী এলাকায় গত ৬ জুন রাতে রহস্যজনকভাবে নাসিরাবাদ কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তায়্যেবাতুন জিদনির মৃত্যু হয়েছে। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর মেয়ে তায়েবাতুন জিদনী শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর শিক্ষিকা হাসনা হেনার জ্যেষ্ঠ সন্তান। জিদনি থাকতো কাঁচিঝুলি নাসা টাওয়ারের হোষ্টেলে। নিজ কক্ষেই জিদনির অপমৃত্যু হয়।

পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ভাষ্যানুযায়ী জানালার পাশে খাটের উপরে হাঁটু পেছন দিকে ভাঁজ করা এবং একটি ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচানো ছিল সেই সাথে জিহবা বের করা অবস্থায় পাওয়া যায়। যেটাতে প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এর কারণ বলা যাচ্ছে না। এ নিয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ৭ জুন জিদনির মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছিল। এদিকে জিদনির স্বামী ইয়াসির আরাফাত ৪ মাস যাবত থাকেন ফ্রান্সে। তিনি দাবি করছেন তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। কারা করেছে কিংবা কাউকে সন্দেহ করেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি জানান, নির্দিষ্ট কাউকে সন্দেহ করতে পারছি না। তবে সে কারো লালসার শিকার হতে পারে। যেখানে থাকতো জিদনি সেখানকার সিসিটিভি ক্যামেরা, দারোয়ান ও কেয়ারটেকারকে ভালো করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বের হয়ে আসতে পারে। যেদিন রাত্রে জিদনি মারা যায় সেদিন রাত্রেই কথা হয়েছিল জিদনীর সাথে। খুব স্বাভাবিক ছিল,হাসিখুশি ছিল। জিদনির স্বামী ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলাম ধর্মের বাইরে ভিন্নমত লালন করেন। এ নিয়ে জিদনীর কোন ক্ষোভের বিষয় ছিল কি না প্রশ্নে তিনি জানান, জিদনী আমার এ ভিন্নমতকে সাপোর্ট করতো।

অন্যদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিদনীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ থানায় জানানো হয় নি অথবা মামলা করা হয় নি। জিদনির মা জানান, জিদনি খুব ভালো মেয়ে। তবে সে মাঝে মাঝে ডিপ্রেশনে থাকতো। কি থেকে কি হয়ে গেল!রিপোর্ট আসলে পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রহস্যজনক এ মৃত্যুর আলামত হিসেবে পুলিশের কাছে মৃত জিদনির মোবাইল সেট আছে। পোষ্টমর্টেম রিপোর্টসহ মোবাইল সেট থেকে অনেক ক্ল্যু পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে জিদনির পরিবারকে। জিদনির স্বামী জিদনির এ রহস্যজনক মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন করার অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনকে।

১২ জুন সোমবার সকাল এগারোটায় উপজেলা পরিষদের সম্মুখ সড়কে সেঁজুতি সাংস্কৃতিক একাডেমি ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর আয়োজনে জিদনির মৃত্যুরহস্য উন্মোচন ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে শেরপুর নালিতাবাড়ীতে মানববন্ধন পালিত হয়েছে। মানববন্ধনে প্রিন্সিপাল মুনীরুজ্জামান এর উপস্থাপনায় বক্তব্য উপস্থাপন করেন জিদনির মা হাসনা হেনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মান্নান সোহেল,মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম খোকন, নবরূপী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি শ্যামল দত্ত,গণতন্ত্রী পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অবনী অনিমেষ,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডারের নেতা লুৎফুল ইসলাম নাহিদ প্রমুখ। জিদনির মা কান্না বিজড়িত কণ্ঠে কন্যার খুনীর ফাঁসি দাবী করেন। মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন

সংবাদটি শেয়ার করুন