সবসময় সমালচনায় থাকাটা যেন সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প । আর এ সমালচনায় থাকতে বিশ্বজুড়ে মিথ্যা,বানোয়াট আর বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করতেও কোন তোয়াক্কা করেননা তিনি ।
সম্প্রতি মার্কিন তথ্য বিশ্লেষক দল ফ্যাক্ট চেকার্স ডাটাবেজ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিটি সন্দেহজনক বিবৃতি অনুসরণ ও বিশ্লেষণ করেছে। আর তাদের প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৩ বছরে প্রতিদিন গড়ে ১৫টির বেশি বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়েছেন ট্রাম্প।
আর নির্বাচন যতোটা কাছে আসছে, বানোয়াট তথ্য প্রচারণার মাত্রাও যেন বেড়েই চলেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ি, ২০১৭ সালে দুই হাজারটি বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও তথ্য প্রচার করেছেন ট্রাম্প । ২০১৮ সালে তিনি এই ভুয়া তথ্যের তালিকায় নতুন করে যুক্ত করেছেন পাঁচ হাজার ৬৮৯টি তথ্য। অর্থাৎ এক বছরে সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ- সাত হাজার ৬৮৮টিতে।
এমনকি ২০১৯ সালে ভুয়া অথবা বিভ্রান্তিমূলক দাবির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে আগের গুলোরও দ্বিগুণ। গত ১০ ডিসেম্বর ছিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার ১০৫৫তম দিন। অর্থাৎ প্রায় তিন বছরে মোট ১৫ হাজার ৪১৩টি ভুয়া তথ্য প্রচার করেছেন ট্রাম্প।
ফ্যাক্ট চেকার্স ডাটাবেজের শেষ আপডেট অনুযায়ি, এখন দিনে গড়ে ৩২ টিরও বেশি বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ।
অন্যদিকে ট্রাম্পের ২০ শতাংশেরও বেশি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য ছড়ায় তার টুইটার থেকে।
কিন্তু ট্রাম্পের ভুয়া আর বিভ্রান্তিমূলক বিবৃতি যতো বাড়ছে, এসবের কার্যকারিতা ততোই কমে যাচ্ছে। এই ব্যর্থতার প্রমাণও যথেষ্ট রয়েছে।
২০১৮ সালের ফ্যাক্ট চেকার জরিপ অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০ জনের মধ্যে তিনজনেরও কম ট্রাম্পের সবচেয়ে প্রচলিত মিথ্যা বক্তব্য বিশ্বাস করে। জরিপে প্রতি ছয়জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে মাত্র একজন ট্রাম্পপন্থী তার গুটিকয় মিথ্যা প্রচারণাকে সত্য হিসেবে মেনে নেয়।
আনন্দবাজার/এফআইবি