সরকারি নির্দেশনা সত্ত্বেও বাজারে মিলছে না নতুন দামের চিনি। রাজধানীর বাজারে কৃত্রিম সরবরাহ সংকট সৃষ্টি করে বাড়ানো হয়েছে চিনির দাম। খুচরা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। ফলে দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে । আর দাম বাড়ানোর কারণে সব দোকানে মিলছেও না চিনি।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
গত কয়েক মাস ধরেই অস্থির চিনির বাজার। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না চিনির দাম। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটজাত ও খোলা চিনি। তারপরও মিলছে না সব দোকানে।
এদিকে খুচরা পর্যায়ে প্রকাশ্যে খোলা বা প্যাকেটজাত চিনির দেখা না মিললেও, ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, সরকার-নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, সিন্ডিকেট করে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন আমদানিকারকরা। প্রতি কেজি চিনি ডিলার পয়েন্ট থেকে কিনতে হচ্ছে ১২৮-১৩০ টাকায়। ফলে বেশি দামে চিনি কেনায় বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে চিনি সংকটে ডিলারদের অভিযোগ মিল মালিকদের ওপর।
আর চিনির দাম অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা নিয়ে দিশেহারা মিষ্টি ও চিনি ব্যবহৃত বহুজাত ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যবসায়ীরা বলেন, চিনির দাম বাড়ায় মিষ্টিজাত পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি বাজারে পর্যাপ্ত চিনিও পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় পকেট কাটা যাচ্ছে ক্রেতাদের। এতে চিনির ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, আগে চিনি ১১০ টাকা কেজিতে কিনলেও, এখন ১৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। যেভাবে হুহু করে দাম বাড়ছে, এতে চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে।
এ অবস্থায় সরকার ও আমদানিকারকদের সমঝোতা ছাড়া বাজারে অস্থিরতা কমবে না বলে মনে করেন সাধারণ ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। তারা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ও আমদানিকারকদের একসঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসতে হবে।
এর আগে সবশেষ চলতি মাসের ৬ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশের বাজারেও সমন্বয় করতে ৩ টাকা কমিয়ে খোলা চিনি ১০৪ ও প্যাকেটজাত ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার পরদিনই দাম আরও বেড়েছে।