নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলায় ৯৮টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (২২ মার্চ) দেশব্যাপী গৃহহীনদের মাঝে ভূমি হস্তান্তর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ঘর হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, মানুষের আনন্দ দেখে চোখের পানি ধরে রাখা যায় না। আমি শীতে কম্বল বিতরণের সময় দেখেছি। রাস্তার মানুষ যাদের থাকার জায়গা নেই তাদের জন্য ঘর প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।
https://energiacaribemar.co/wp-content/
https://www.mededuinfo.com/themes/
https://www.capitolmedical.com.ph/wp-content/
তিনি আরও বলেন, আমি এ জেলার আগে চাপাইনবাবগঞ্জ ছিলাম। সেখানে যখন খবর পেলাম গৃহহীনদের জন্য ঘর দিতে হবে। তখন মনে হল আমার চাকরি জীবনের সবচেয়ে সম্মানের কাজটি করতে যাচ্ছি। আমি যে সুযোগ পেয়েছি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। মনে পরম আনন্দ পেয়েছি। সেখানে ভূমিহীন নারায়ণগঞ্জের চেয়ে বেশি কারণ ওখানে পদ্মার ভাঙন হয়। নারায়ণগঞ্জ এসে দেখলাম এখানে জমির দাম এত বেশি। এখানে খাস জায়গা, খেলার মাঠ নয়তো নিচু জায়গা। সবকিছু কাটিয়ে আর আমরা গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছি।
আগে বলত উন্নয়ন দেখতে সিঙ্গাপুর যাও ভিয়েতনাম যাও। এখন বাইরের মানুষ বলে যদি উন্নয়ন দেখতে চাও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন দেখতে চাও তাহলে বাংলাদেশে যাও। বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশ নেই। পৃথিবীর নামি-দামি ব্রান্ডের গায়ে লেখা থাকে মেড ইন বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী ইশতেহারে বলেছিলেন ক্ষমতায় গেলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব। সেদিন অনেকে মুচকি হেসেছিল। আজ এখানে যারা গৃহহীন তাদের সন্তানদের কাছেও স্মার্টফোন আছে। তারাও অনলাইনে ভাতা পায়। আমরা স্বপ্ন দেখতেই পারি এবং আমরা সে লাইনেই এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪১ সালে বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, আজ যারা ঘর পাচ্ছেন তাদের আমি অভিনন্দন জানাই। আপনারা এতদিন ঠিকানাবিহীন ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কারণে আজ আপনারা ঠিকানা পেয়েছেন। আপনারা প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশে কোনো মানুষ গৃহহীন ভূমিহীন থাকবে না। কেউ যেন ভূমিহীন না থাকে সে লক্ষ্যেই এ কার্যক্রম। সারা বাংলাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
আনন্দবাজার/শহক