রেলওয়ে সেবাকে কালোবাজারি চক্র হতে মুক্ত করতে এবার ট্রেনের টিকিটে যুক্ত হচ্ছে এনআইডির তথ্য। ট্রেনে যাতায়তের সময় এখন থেকে যাত্রীর টিকিটের সঙ্গে মেলানো হবে এনআইডি তথ্য। না মিললে বিনা টিকিটে যাতায়াত করছেন বলে তাকে অভিযুক্ত করা হবে। এরপর মুখোমুখি হতে হবে জরিমানার। এছাড়াও এখন থেকে যাত্রীরা অনলাইনে টিকিট ফেরত দিতে পারবেন। আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে এ সিদ্ধান্ত।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
সম্প্রতি টিকিট কালোবাজারি চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বিভিন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে তারা টিকিট কেটে তা ট্রেন ছাড়ার আগে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করতো। আর এসব কালোবাজারির জন্য টিকিট পেতেন না যাত্রীরা। এবার কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
ট্রেনের টিকিট কাটা ও ভ্রমণে মানতে হবে যে নিয়ম:
১. ১২-১৮ বছর বয়সী যাত্রীদের বাবা অথবা মায়ের এনআইডি দিয়ে টিকিট কাটতে হবে।
২. বিদেশিরা পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ও পাসপোর্টের ছবি আপলোড করে নিবন্ধন করবেন।
৩. সফলভাবে এনআইডি, পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন যাচাই ছাড়া কোনো যাত্রী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন না।
৪. ভ্রমণকালে যাত্রীকে অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট, ছবি সম্বলিত আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।
টিকিটের সঙ্গে এনআইডির তথ্য না মিললে জরিমানা: ট্রেন যাত্রার সময় পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকিটের ওপরে মুদ্রিত যাত্রীর তথ্য মেলানো হবে। না মিললে বিনা টিকিটে ভ্রমণের দায়ে ওই যাত্রীকে অভিযুক্ত করা হবে। এরপর বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রচলিত আইনে করা হবে জরিমানা।
এছাড়াও এখন থেকে যাত্রীরা অনলাইনে টিকিট ফেরত দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে রেল সেবা অ্যাপ বা রেলওয়ের টিকিটিং ওয়েব পোর্টালে ঢুকে নিজস্ব আইডিতে টিকিট রিফান্ড অপশনে গিয়ে তথ্য দিতে হবে। পরবর্তীতে রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম থেকে তথ্য যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলে টিকিট রিফান্ড করা হবে।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, টিকিট কালোবাজারি ও বিনা টিকিটে ভ্রমণ বন্ধ করতে তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এরমধ্যে একটি হলো জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিটিং ব্যবস্থা, পয়েন্ট অব সেল (পস) মেশিনের প্রবর্তন, অনলাইনে কেনা টিকিট অনলাইনেই রিফান্ডের ব্যবস্থা করা।
আনন্দবাজার/কআ