বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোর চাষে দ্বিগুন খরচ তবুও চাষে ব্যস্ত কৃষক

বোর চাষে দ্বিগুন খরচ তবুও চাষে ব্যস্ত কৃষক

শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার অধিকাংশ লোক কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। তাই অত্র এলাকার লোকের আয়ের উৎস কৃষি ফসল। যদিও ফসল উৎপাদন খরচ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে তবুও বসে নেই এলাকার কৃষকেরা। বোর চাষের উপযুক্ত সময় চলছে তাই কৃষকেরা বোর চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে।

এ বছর প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারনে বোর চাষে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে পরেছে। তার পরেও রাত দিন পরিশ্রম করে বোর ফসল উৎপাদনে প্রান পন চেষ্টা করে অতি দ্রুত সময়ে মধ্যে বোর ফসল লাগানোর চেষ্টা করছে। বৈরী আবহাওয়ায় বোর বীজের চারা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়াতে কৃষকেরা বোর চাষে বাধা গ্রস্থ হলেও বোর বীজ বিভিন্ন ভাবে সংগ্রহ করে ফসল উৎপাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য অনেক কৃষক আমন ধান কেটেই অনেক জমিতে সরিষা চাষ করাতে বোর চাষ এক যোগে শুরু হয়েছে। সকল কৃষক বোর চাষে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। এই জন্য দেখা দিয়েছে জমি চাষে শ্রমিক সংকট ও বোর চাষে চারা সংকট। এর মূলে দির্ঘস্থায়ী প্রতিকূল আবহাওয়া। যদি আবহাওয়া ভালো থাকতো তাহলে এক যোগে বোর চাষ শুরু হতো না পর্যায় ক্রমে বোর চাষ শুরু করতে পারলে এই সময়ে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি জমিতে বোর লাগানো শেষ হয়ে যেত। বর্তমানে অর্ধেকেরও বেশী জমিতে বোর চাষের কাজ করছে কৃষকেরা।

তাই শ্রমিক সংকট, চারা সংকট ও পানি সংগ্রহ সল্পতা সহ নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে চলছে বোর চাষ। প্রকাশ থাকে যে প্রতি একর জমি চাষ খরচ প্রায় দ্বিগুন পানির খরচ প্রতি একর প্রায় দ্বিগুন শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি সহ প্রায় সকল খরচ প্রতি একরে ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা বা তারও বেশি ব্যায় হবে এমন কথা জানা গেছে কৃষক সাইফুল, বাবুল, হালিম , ছয়ফল সহ অনেক কৃষক এমন খরচের কথা বলেছে।

আরও পড়ুনঃ  কৃষিজমি অন্য কাজে ব্যবহার নয়

এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতি কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, নাদিয়া আক্তার ও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার মঞ্জুরুল হক ও আল-আমিনের সাথে কথা হলে তারা জানায় বর্তমানে সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাই খরচ বৃদ্ধি পাবে এই উক্তি সাভাবিক। তবে কৃষকের ফসলের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই কৃষকেরা ভালো দামে তাদের ফসল বিক্রি করতে পারবে।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন