মাত্র ২ রুপির বিনিময়ে চিকিৎসা শুরু করেছিলেন পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া ৭৭ বছর বয়সি ডা. দাওয়ার। ২ রুপি পারিশ্রমিক বর্তমানে ২০ রুপি হয়েছে। কাজ করেছেন সেনাবাহিনীতেও।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এমনই ব্যতিক্রমী চিকিৎসক এমসি দাওয়ারকে চলতি বছরে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করলো। এমন সম্মান পাওয়ার পর ডা. এমসি দাওয়ার বলেছেন, দেরিতে হলেও কোনো কোনো সময় কঠিন পরিশ্রমের ফল পাওয়া যায়। মানুষের আশীর্বাদেই আমি এই পুরস্কার পেলাম। এই পুরস্কার কঠিন পরিশ্রমেরই ফল।
এই বছরের পদ্মশ্রী পুরস্কার বিজয়ীদের নাম বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এবার মোট ৬ জন পাচ্ছেন পদ্মবিভূষণ পুরস্কার। ৯ জন পদ্মভূষণ এবং ৯১ জনকে দেওয়া হয়েছে পদ্মশ্রী সম্মান। তাদেরই একজন ডা. এমসি দাওয়ার।
ডা. এমসি দাওয়ার ১৯৪৬ সালের ১৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে জন্ম। দেশভাগের পর সপরিবারে তিনি ভারতে চলে এসেছিলেন। ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রদেশের জবলপুর থেকে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। মাঝখানে সেনাবাহিনীতে কাজ করেন। পরে ১৯৭২ সালে জবলপুরে চিকিৎসা করা শুরু করেন তিনি। মাত্র ২ রুপির বিনিময়ে তিনি চিকিৎসা করা শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তার পারিশ্রমিক বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু খুব বেশি নয়, ২০ রুপি।
পারিশ্রমিকের বিষয়ে ডা. এমসি দাওয়ার বলেছেন, এত কম পারিশ্রমিক নেওয়া নিয়ে বাড়িতে আলোচনা হয়েছে ঠিকই, তবে এই নিয়ে কোনো মতবিরোধ ছিল না। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য জনগণের সেবা করা, তাই পারিশ্রমিক বাড়ানো হয়নি। সাফল্যের মূল মন্ত্র হলো, আপনি যদি ধৈর্য ধরে কাজ করেন তবে অবশ্যই সাফল্য পাবেন। সাফল্যও এক ধরনের সম্মান।
ডা. দাওয়ারের ছেলে ঋষি জানান, আমরা ভাবতাম রাজনৈতিক যোগাযোগ থাকলে তবেই পুরস্কার পাওয়া যায়। কিন্তু, যারা সত্যিকারের কাজ করছেন, সরকার যেভাবে তাদের খুঁজে খুঁজে সম্মান জানাচ্ছেন, তা সত্যিই খুব ভালো বিষয়। এই কারণেই বাবা এই পুরস্কার পেয়েছেন। এ বিষয়ে ডা. দাওয়ারের পুত্রবধু সুচিতা বলেছেন, এটা আমাদের, আমাদের পরিবারের এবং আমাদের শহরের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। খবর এনডিটিভির।
আনন্দবাজার/কআ