ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁশের সাঁকো বেয়ে সেতুতে

বাঁশের সাঁকো বেয়ে সেতুতে
  • ৮ গ্রামে দুর্ভোগ
  • ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার
  • উদ্যোগ নেই প্রশাসনের

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কাশিনাথপুর বাজার সংলগ্ন সেতু প্রায় বছরখানেক ধরে ভেঙে আছে। দীর্ঘদিনেও সেতুটির সংস্কারের স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ না নেওয়ায় এর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধসহ ৮টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে সেতুতে উঠতে বাঁশের সাঁকোই এখন ভরসা। শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়ে এখন ওই সেতু পার হচ্ছে। আর এ কাশিনাথপুর বাজারের ২০০ গজের মধ্যেই রয়েছে কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি অফিসসহ ৫টি বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা ও একটি এতিমখানা।

স্থানীয়রা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড গত বন্যার আগে নদীটি পুনঃরায় খনন করেন। এতে বর্ষার শুরুতেই কংক্রিট সেতুটিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে সামান্য পানির চাপে হঠাৎ সেতুটির পশ্চিম দিকে ভেঙে পড়ে যায়।

উপজেলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে কাশিনাথপুর বাজার হতে শায়েস্তাবাদ ফুলছড়ি খালের উপর ৩২ লাখ ২৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস সিয়াম ট্রেডাস।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাশিনাথপুর বাজার সংলগ্ন সেতুটির দেবে গিয়ে একপাশে কাত হয়ে পড়েছে। সেতুর পশ্চিম পার্শ্বের এবটমেন্ট ভেঙে যাওয়াসহ পাশাপাশি সেতুর দুই পাশের উইং ওয়ালের মাটি সরে গেছে ও ওয়ালে একাধিক ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এপ্রোচে মাটি না থাকায় এলাকাবাসী বর্তমানে বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়েই সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন প্রতিনিয়ত।

এব্যপারে জিলিম প্রাং, ভুলু প্রাং, হাজী মোকছেদ প্রাং, সেলিম মোল্লাসহ এলাকাবাসী জানান, সেতুটিতে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার ফলে সামান্য বন্যার পানির চাপে এটি এক পার্শ্বে ভেঙে পড়েছে। সেতুটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বর্তমানে সড়াতৈল, শায়েস্তাবাদ, চিনাধুকুরিয়া, চকহরিপুর, কুমারগালা, মুরুটিয়া, ভেড়াডাঙ্গা ও খলিফাপাড়া গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এমনকি ওইসব এলাকার ধান-চালসহ উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করাসহ গর্ভবতী মা, শিশু ও অন্য রোগী বহন করতে পৌঁহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অপূরণীয় ক্ষতির আশংকা রয়েছে বলে মনে এলাকার সচেতন মহল। অপরদিকে, সেতুটি দ্রুত সংষ্কার করে গ্রামবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের জন্য উদ্ধতর্ন কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টি কামনা করেন কায়েমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল আলম(ঝুনু)।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম। আমি উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, খোঁজ নিয়ে দ্রুত এলাকাবাসীর চলাচলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন