ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে জানা যায়, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকের ঠিক পরের দিন অর্থাৎ রবিবার (০৫ জানুয়ারি) অভাবনীয় পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সব ধরণের সূচক হ্রাস পেয়েছে। একইসঙ্গে হ্রাস পেয়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর।
জানা যায়, আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার পয়েন্টে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯৯৫ ও ১৪৮০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইতে চালু হওয়া নতুন সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৮৮৩ পয়েন্টে।
ডিএসইতে আজ মোট টাকার লেনদেন হয়েছে ২৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের দিন থেকে যা প্রায় ৯৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা কম। আগের দিন মোট লেনদেন হয়েছিল ৩৮৬ কোটি ৮২ লাখ টাকার।
ডিএসইতে আজ সর্বমোট ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। ৫২টি বা ১৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ২৬৯টি বা ৭৬ শতাংশের এবং ৩৩টি বা ৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর আগেরমতই রয়েছে।
অন্যদিকে অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৮১ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে সর্বমোট ২২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ১৬৬টির এবং আগেরমতই রয়েছে ২০টির দর। এছাড়া আজ সিএসইতে মোট ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
আনন্দবাজার/শাহী