প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ(পিআইবি)’র আয়োজনে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সদস্যদের জন্য (১৯-২০ ডিসেম্বর) দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। আজ বিকেলে পিআইবি’র সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের সমাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মুরসালিন নোমানী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন তৈরি করে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা যায়। এমনকি বিবেকের পক্ষঘাতগ্রস্ততা থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
ডিআরইউ সভাপতি বলেন, ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং এমন একটি বিষয় যা সমাজের অনাচার দূর করতে অনেকটা সহায়তা করে।
মুরসালিন নোমানী আরো বলেন, সাংবাদিকরা জনগণের তথ্যের অবাধ প্রবাহ সৃষ্টি করে। একারনে জনগণ দেশ ও পৃথিবীর সকল খবরা মুহূর্তে নিজের করায়ত্ত¡ করতে সক্ষম হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন সোহেল বলেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির সাথে নিজেদের খাঁপ-খাইয়ে নিয়ে সাংবাদিকতা করার অন্যতম অনুষঙ্গ হল প্রশিক্ষণ। কারণ প্রশিক্ষিত প্রতিবেদক ছাড়া বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বস্তুনিষ্ঠ ও সাবলীল প্রতিবেদন প্রায় অসম্ভব।
অনুষ্ঠানে সভা প্রধানের বক্তব্যে পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন,বর্তমান যুগ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন,পরিবর্ধন ও সংযোজন হচ্ছে। এরসাথে টিকে থাকতে হলে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিত হতে হবে। দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই বলে মতপ্রকাশ করেন তিনি।
পিআইবি’র মহাপরিচালক বলেন,সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশে সরকারি অর্থায়নে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে খাঁপ-খাইয়ে চলতে ডাটা,ড্রোন ও রোবোটিকসের ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করেন। এছাড়া তিনি পাঠক,দর্শক ও শ্রোতার কথা মাথায় রেখে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার উৎকর্ষতা নিয়ে কথা বলেন।
পিআইবি’র কনিষ্ঠ প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলমের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) মোট ৩৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। সমাপন অনুষ্ঠানে অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন,নারী বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম সেঁজুতি।