ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঠের ফুলে জীবিকা

কাঠের ফুলে জীবিকা

সত্যিকারে মনের গাঁথুনি দিয়ে গানের মতো করে কাঠের উপর ফুল ফুটিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে নকশা শিল্পীরা। কাঠ খোদাই আর নিপুণ আসবাবপত্র তৈরি করে ১০ বছর ধরে অন্যের ঘর সাজিয়ে চলেছেন নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রানা বাবু। ১০ বছর ধরে এ কাজ করছেন রানা বাবু। ১০ বছর বয়সে কাঠের উপর বিভিন্ন ডিজাইনের ফুল ফুটানোর কাজে হাতেখড়ি হলেও তিনি এখন একজন পরিপূর্ণ মিস্ত্রি। পড়ালেখা বেশি করিনি। পঞ্চম শ্রেণি শেষ করতে পারিনি। তবে পড়ালেখা না করলেও কাজে মনোযোগ থাকায় আমি আজ সফল হয়েছি।

তিনি বলেন, নকশার কাজের চাহিদা বেড়েছে নিয়ামতপুরসহ সারা দেশে। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানীর আসবাবপত্র বের হলেও একটুও চাহিদা কমেনি কাঠের ফার্নিচারের। অত্যাধুনিক ওইসব আসবাবপত্র দেখতে সুন্দর হলেও টেকসই না হওয়াতে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। আর দিন দিন মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে ততই কদর বাড়ছে নিত্যনতুন ডিজাইনের কাঠের ফার্নিচারের।

তিনি আরোও বলেন, জীবন-জীবিকায় এ পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রাখলেও এখন আমার একটাই স্বপ্ন একমাত্র ছেলেকে মানুষের মতো করে গড়ে তোলার। একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে পরিবারের পাশাপাশি দেশ ও জাতি গঠনে অংশ নেওয়ার। উন্নত প্রযুক্তি ও আর্থিক সহায়তা পেলে কাঠশিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। তা না হলে একদিন শিল্পীর অভাবে এ শিল্পের বিলুপ্তি ঘটবে।

কাঠমিস্ত্রীরা বলেন, প্রতিটি কাজের নকশাভেদে মজুরি আলাদা। একটি খাটের নকশার মজুরি ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা, খাটের পায়ার মজুরি প্রতিটি ৩৫ টাকা, ডাইনিং টেবিলের পায়ার মজুরি ১২০ টাকা করে। কঠোর পরিশ্রম করলেও হাতে গোনা কয়েকশ টাকা আসে পকেটে। এ দিয়েই টেনেটুনে চলে  সংসার তাদের। গ্রাম বাংলায় রয়েছে অনেক কাঠমিস্ত্রি যাদের হাতের কল্যাণে শোভা পায় অভিজাত আসবাবপত্র। অথচ তাদের দূরাবস্থার খেয়াল রাখে না কেউ।

সংবাদটি শেয়ার করুন