ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাঁকো দিয়ে নদী পার

সাঁকো দিয়ে নদী পার

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নে বিলাসপুর-মাদারপুর রাস্তায় সোমেশ্বরী নদীর ওপর সেতু না থাকায় জনদুর্ভোগ এখন চরমে।

সরেজমিনে বিলাসপুর ও মাদারপুর গ্রামবাসীর ও বিলাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসাইন বলেন, বিলাসপুর ও মাদারপুর গ্রামে যাতায়াতে ৩ কিলোমিটার রাস্তাই ভরসা। মাদারপুর গ্রামের বুক চিরে বয়ে গেছে সোমেশ্বরী নদী। বিলাসপুর গ্রামে রয়েছে সোমেশ্বরী নদীর ছোট্ট আরেকটি শাখা নদী। স্কুল-কলেজের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ পথেই যাতায়াত করে। তবে, সোমেশ^রী নদীতে সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে পারাপার হচ্ছে। বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢলে উজান থেকে পানির স্রোতে নদী পারাপারে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, পথচারীদের যাতায়াতে চরম সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কষ্টের সীমা থাকেনা নদীর উভয় পাশের জনগণের। নদীতে পানির জন্য কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতে ও গবাদি পশু নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এলাকার লোকজন নির্মিত বাঁশের সাঁকোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপারে প্রায়শই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রী ও কৃষকরা।

শতবর্ষী ডা. আব্দুল বারী, অলহাজ, শরীফ উদ্দিন সরকার, আলহাজ, রেজায়ুর রহমান মাস্টার, সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব আলী ফর্সা অবিলম্বে সোমেশ^রী নদীর ওই স্থানে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

তারা জানান, ফি-বছর স্থানীয় লোকজন সোমেশ্বরী নদী ও বিলাসপুর খালে বাঁশ অথবা কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াত করলেও বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায় সাঁকো। ফলে চলাচলে চরম বিপাকে পড়তে ছাত্র-ছাত্রী ও কৃষকদের। বিলাসপুর ও মাদারপুর গ্রামের সংযোগ রাস্তার ভাঙা অংশে সেতু নির্মাণসহ সড়কটি পাকা করণের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাাকাবাসী। তারা বলেন, বিলাসপুর মাদ্রাসা থেকে মাদারপুর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় মাদারপুরে সোমেশ্বরী নদীতে একটি ব্রিজ ও রাস্তার অপর প্রান্ত বিলাসপুরে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা জরুরি প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ফারুক আল মাসুদ বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীসহ সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি জানান, বিলাসপুর হতে মাদারপুরসহ ৭ ইউনিয়নের ৪৫৪টি রাস্তার আইডি পরিমাপ করে কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন