ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে এক খেজুরগাছের ২২ মাথা!

ঝিনাইদহে এক খেজুরগাছের ২২ মাথা!

আজব এক খেজুর গাছের সন্ধান মিলেছে ঝিনাইদহে। যেখানে একটি খেজুর গাছের ২২টি মাথার সন্ধান পাওয়া গেছে। মাটিতে একটি মাত্র গাছ দাঁড়িয়ে থাকলেও ওপরে তাকালেই দেখা যায় ২২টি মাথাসহ ব্যতিক্রমী এক খেজুরগাছ। খেজুরগাছটির প্রত্যেকটি মাথায় আলাদা আলাদা সতেজ পাতাও বিদ্যমান। এখনও জীবিত আছে এর ১৪টি মাথা।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামে প্রকৃতির এই বিচিত্র সৃষ্টি খেজুরগাছটির সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই গ্রামের মৃত আবু তালেব মুন্সীর ছেলে ডাক্তার সলেমান মুন্সী খেজুরগাছটির মালিক। গাছটির আনুমানিক বয়স ৩০ বছর। দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ গাছটিকে একনজর দেখতে ভিড় করে।

একপাশে মেহগনি ও আম বাগানের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে ২২ মাথা ওয়ালা একটি খেজুরগাছ। দেখে মনে হয় কোনো শিল্পী যেন ফুলদানিতে গাছটি সাজিয়ে রেখেছে। অবাক করার বিষয় গাছটির মূলের চেয়ে ২২ গুণ ভারি মাথা নিয়েও আকাশ পানে সোজা দাঁড়িয়ে আছে। এক সময় খেজুরগাছটি থেকে রস আহরণ করা গেলেও এখন আর হয় না।

স্থানীয় কৃষকের ভাষ্যমতে, গাছটিতে সাপের উপদ্রব থাকার কারণে গাছ থেকে আর রস সংগ্রহ করা যায়নি। আবার সাপের কারণে খেজুরগাছে ফল ধরলেও সেগুলো পাড়া যেতো না। গাছেই ফল পেকে নষ্ট হয়ে যেত। এভাবেই প্রথমে একটা দুইটা করে মাথা হতে থাকে। এক সময় এতো মাথা হয় যে গণনা করাই মুশকিল হয়ে যায়। কিছু মাথা মারাও গেছে এখন ১৪টি মাথা জীবিত আছে। তবে এই গাছটি দেখতে অনেক দূর থেকে লোকজন আসে। এই গাছটি অনেক দিন আগেই এমন হয়েছে। প্রথমে তিনটি মাথা হয়। তারপর আস্তে আস্তে অনেক মাথা হয়েছে। এক সময় ওই মাথাগুলো থেকে রস আহরণের চেষ্টাও করা হয়েছে, কিন্তু কেউই পারেনি।

দর্শণার্থীরা জানান, এমন ঘটনা একেবারেই বিরল। আল্লাহর এক ব্যতিক্রম নিদর্শন। আমরা গ্রামে আসলেই একবার হলেও এ গাছটি দেখতে আসি। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গাছটিকে একনজর দেখতে মানুষ আসছে।

এটি গাছের একটি জেনিটিক সমস্যা। হরমোন জনিত কারণে এক বীজপত্রি উদ্ভিদে একাধিক শাখা-প্রশাখা হতে পারে। তবে এমন ঘটনা খুবই কম হয় বলে জানান ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন