ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় প্রাইভেট কারের চাপায় নিহত রুবিনা আক্তারের (৪৫) মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিকেলে মরদেহ হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় আজ ভোরে নিহত রুবিনা আক্তারের ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে দেবর নুরুল আমিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে রুবিনা আক্তার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাসা থেকে হাজারীবাগে বাবার বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বিপরীতে টিএসসি অভিমুখী সড়কে একটি প্রাইভেট কার পেছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়। এতে নুরুল আমিন মোটরসাইকেলসহ এক পাশে ছিটকে পড়েন। রুবিনা প্রাইভেট কারের নিচে আকটে যান। ওই অবস্থায় চালক তাকে টেনেহিঁচড়ে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত নিয়ে যান। পেছন থেকে লোকজন চিৎকার করলেও চালক কর্ণপাত করেননি।
প্রচণ্ড চাপ ও আঘাতে পিষ্ট হয়ে ওই নারীর মৃত্যু হয়। আজহার জাফর শাহকে গাড়িসহ আটকে উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি দেয় এবং গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এরপর নিলক্ষেত এলাকায় স্থানীয় লোকজন তাকে পুলিশে দেয়।
পুলিশ জানায়, ওই চালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চাকরিচ্যুত সাবেক সহকারী অধ্যাপক আজহার জাফর শাহ ছিলেন। ২০১৮ সালে আজহার জাফর শাহ নানা অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয়।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার গভীর রাতেই নিহত রুবিনা আক্তারের ভাই জাকির হোসেন সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা করেছেন। রুবিনাকে গাড়িচাপা দিয়ে টেনে নেওয়া চালক আজহার জাফর শাহকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সড়ক পরিবহন আইনে দায়ের করা এ মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
আইনে দুর্ঘটনা সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত হইলে বা তাহার প্রাণহানি ঘটিলে, উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক ০৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’
আনন্দবাজার/কআ