- ধান মাড়াই-কর্তণে ব্যস্ত চাষি
বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চাষিরা। ইতিমধ্যে অধিকাংশ ক্ষেতের ধান পাকতে শুরু করায় ধান কাটা-মাড়াই করে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। মাঠ জুড়ে পাকা আমন ধান। কেউ ধান কাটছেন, কেউ বা আঁটি বাঁধছেন। দু‘একজন সেই আঁটি বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। যেনো দম ফেলার ফুসরত নেই কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবার ১২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। যা উপজেলায় এ যাবৎ কালের মধ্যে সর্বোচ্চ আমন চাষ। এর মধ্যে ব্রি-৪৯, ব্রি-৮৭, ব্রি-৭৫, বিনা-১৭, বিনা-৭ ও ধানী গোল্ড জাতের ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। আমন ধান রোপণের শুরুতেই অনাবৃষ্টি ও পরে ঘূর্ণিঝড় সিংত্রায়ের সত্ত্বেও উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
উপজেলার বাগরাইট গ্রামের কৃষক আমিনুল বলেন, এ বার ৩ বিঘা জমিতে ব্রি-৪৯ জাতের আমন ধানের চারা রোপণ করেছিলাম। ফলন পেয়েছি প্রায় ৫৫ মণ। ফলন প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে।
চান্দপুর ইউনিয়নের কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, এক একর জমিতে হাউব্রিড ধানের চাষ করেছিলেন। এখন জমির সেই ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এবার সব কিছুর দাম অনেক বেড়েছে, যদি ধানের দামটাও বৃদ্ধি পায় তাহলে কৃষক লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুকশেদুল হক বলেন, চলতি বছর উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। আমরা আগাম ও স্বল্পমেয়াদী ধানের জাত আবাদের জন্য কৃষকদের পরমার্শ দিয়েছি। এতে একদিকে ধানের উৎপাদন যেমন বেড়েছে, অন্যদিকে বোনাস ফসল হিসাবে সরিষা বা আলু আবাদের সুযোগ হচ্ছে।