- কেনা হবে এক লাখ ৪০ হাজার টন
- কাফকো থেকে কেনা হবে ইউরিয়া
কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে এক লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার। ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এই প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭৭ কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮ টাকা। এর মধ্যে ৫৬২ কোটি ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৮ টাকার ইউরিয়া সার রয়েছে।
গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সবগুলোই অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের তিনটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবনা রয়েছে।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন দেওয়া পাঁচটি প্রস্তাবের অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩০৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৩ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) থেকে ব্যয় হবে ৩২৭ কোটি ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৫ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ঋণ ৯৭৭ কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮ টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন (কেসিসি) থেকে অষ্টম লটে ৫০ হাজার টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৪১৪ কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৩০০ টাকা। এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার ৬৪৪ টাকা।
সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিসিআইসির মাধ্যমে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে নবম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ১৮৫ কোটি ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৭০০ টাকা। সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিসিআইসির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত থেকে এগারোতম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার ৬৪৪ টাকা।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, দেশে বছরে ২৬ লাখ টন ইউরিয়া, সাড়ে ৭ লাখ টন টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট), সাড়ে ১৬ লাখ টন ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়া ফসফেট) এবং সাড়ে ৮ লাখ টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। ইউরিয়া সার ১০ লাখ টনের মতো দেশে উৎপাদিত হয়, বাকিটা মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি হয়। টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারেরও বড় অংশ আমদানি করা হয়। এমওপির উৎস মূলত বেলারুশ, রাশিয়া ও কানাডা।
মূলত দেশে সারের উৎপাদন খরচ ও আমদানি মূল্য অনেক বেশি। তবে সরকার পরিবেশক বা ডিলারদের মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে সার বিক্রি করে। কোথাও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই।