শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তবুও কেন আমদানি?

তবুও কেন আমদানি?

টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে ডিম আমদানির পাঁয়তারা

  • দেশে ডিমের চাহিদা ৪.৫ কোটি
  • বছরে উৎপাদন হচ্ছে ৫ কোটি
  • চাহিদার চেয়ে বেশি ৫০ লাখ

দেশে এখন বছরে ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি, উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি। তারপরও সংকট দেখিয়ে ডিম আমদানি করতে চায় একটি সিন্ডিকেট। টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে ডিম আমদানির পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দেশের প্রান্তিক খামারিদের টিকিয়ে রাখতে এই চক্রটিকে ডিম আমদানির অনুমোদন না দেওয়াসহ সরকারের কাছে সাত দফা দাবি জানিয়েছে খামারিদের সংগঠনটি। দাবিগুলো হলো-অসাধু সিন্ডিকেট থেকে পোল্ট্রি সেক্টরকে রক্ষা করতে হবে। ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া যাবে না। খাদ্যের উপর সরকারি ভর্তুকিসহ অন্যান্য ফ্যাসিলিটি বাড়িয়ে মূল্য কমাতে হবে।

পোল্ট্রি নীতিমালা প্রণয়নসহ পোল্ট্রি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সমন্বয় করে ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করতে হবে। সব খামারিদের নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। সহজ শর্তে ব্যাংক লোন এবং ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা।

সুমন হাওলাদার বলেন, বর্তমানে পোল্ট্রি শিল্প মারাত্মক হুমকির মুখে। কিন্তু দেশবিরোধী কিছু আমদানিকারক ডিম আমদানির আবেদন করেছেন। সরকার অনুমতি দিলেই তারা আমদানি করবেন। যা পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংসের আরেকটি ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি। আমাদের ডিম উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি। তারপরেও যারা ডিম সংকট বলছেন তাদের উদ্দেশ্য ধান্দাবাজি।

আরও পড়ুনঃ  ডালের দাম বেড়েছে

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বাজারে চাহিদা কম থাকায় আমাদের দেশে খামারিরা ডিম ও মুরগি বিক্রি করতে পারছেন না। তারপরও যারা ডিম ও মুরগির সংকটের কথা বলছেন, তারা দেশের প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংস করে সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে চান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, ডিম আমদানি বন্ধ করুন। প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করুন।

এদিকে চুক্তিবদ্ধ খামারের নামে প্রান্তিক খামারিদের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে স্ট্যাম্প ও চেক নিয়ে প্রতারণা করে গুটিকয়েক করপোরেট কোম্পনি বছরে ১ হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে বলেও দাবি করেন তারা।

সূত্রমতে, কয়েক মাস আগে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় ডিমের দাম। পাড়া-মহল্লার দোকানে ডিমের হালি ৪৮ থেকে ৬০ টাকার বেশি বিক্রি হতে থাকে। মাঝখানে কমে গিয়ে ফের আবার কয়েক দফায় বেড়ে যায়। বিশেষ করে গত সেপ্টেম্বর মাসে ডিমের দাম আরেক দফা বাড়ে। বাজারে ডিমের ডজন বিক্রি হতে দেখা যায় ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। আর হাঁসের ডিমের ডজন গিয়ে দাঁড়ায় ২২০ টাকায়। এছাড়া দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হয় ২২০ টাকার বেশি।

সংবাদটি শেয়ার করুন