কাতার বিশ্বকাপের আগেই ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন রোনালদো। তার মনে হয়েছে, ম্যানইউতে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন।
এরিক টেন হাগের ফুটবল দর্শনের সঙ্গে না মেলায় চলতি মৌসুমের বেশিরভাগ সময় রোনালদোকে কাটাতে হয়েছে বেঞ্চে। এ নিয়ে রোনালদোর মধ্যে বেশ ক্ষোভও দেখা যায়।
এবার ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান দেয়া সাক্ষাৎকারে সে ক্ষোভ একেবারে উগড়ে দিলেন তিনি।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো অনেক আশা নিয়েই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এসেছিলেন। কিন্তু প্রত্যাবর্তনটা মোটেও সুখকর ছিল না। নিজ মুখে না বললেও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানা যাচ্ছিলো, ঠিকমতো বনিবনা হচ্ছে না তার।
গত মাসে টটেনহামের বিপক্ষে বদলি হয়ে নামতে বলায় রাজি হননি। যার শাস্তি স্বরূপ গত মাসে চেলসির বিপক্ষে দলে জায়গায়ও হয়নি। গত ৬ নভেম্বর দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের পর তো রহস্যজনক অসুস্থতায় আর খেলতে দেখা যায়নি।
ক্লাবের শীর্ষ কর্মকর্তারা তাকে বিদায় দিতে চায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, শুধু কোচ টেন হাগ নন। ক্লাবের আরও দুই-তিনজন কর্মকর্তাও এমনটা চায়। মনে হচ্ছে, আমি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি।’
রোনালদো বলেছেন, ‘আমি এসব পাত্তা দেই না। মানুষের সত্যটা জানা দরকার। হ্যাঁ, আমি অবশ্যই বিশ্বাস ঘাতকতার শিকার হয়েছি। আমার মনে হয়েছে বেশ কয়েকজন চায় না এখানে থাকি। শুধু এই বছর নয়, গত বছরও এমনটা চেয়েছে।’
দুই পর্বের ৯০ মিনিটের সাক্ষাৎরটি বুধ ও বৃহস্পতিবার রাতে প্রচার হবে। তবে মরগান সেই সাক্ষাৎকারের একটা লিখিত সংস্করণ তুলে ধরেছেন ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান পত্রিকায়।
রোনালদো সেখানে বলেছেন, ‘আমি ক্লাবের স্বার্থটা দেখতে চেয়েছি। কিন্তু স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন যাওয়ার পর ক্লাবের কোনও উন্নতি হয়নি। পরিবর্তনও হয়নি কিছুর।’
‘কোচের জন্য আমার কোনও সম্মান নেই। কারণ, তিনিও আমাকে সেরকম দৃষ্টিতে দেখেন না। আর আমার জন্য কারো সম্মান না থাকলে আমিও তাকে সম্মানের চোখে দেখি না।’ বলে জানান রোনালদো।
আনন্দবাজার/কআ