সরকারিভাবে বিতরণকৃত বিনামূল্যের বই নিতে নগদ টাকা দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বই পেতে শিক্ষার্থীদের ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত নগদ ফি দিতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষককে। ভর্তি ফি ও সেশন চার্জের নামে এসব টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
যারা এই টাকা দিতে পারেনি তাদের বই দেয়া হয়নি। ফলে বই উৎসবের দিন বই না পেয়ে খালি হাতে ফিরে গেছে বরিশালের উজিরপুর ও গৌরনদী উপজেলার প্রায় শিক্ষার্থী।
উজিরপুর উপজেলার জয়শ্রী-মুন্ডপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বছরের প্রথমদিনে বই উৎসবকে সামনে রেখে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর নির্দেশে বিভিন্ন সহকারী শিক্ষকরা প্রকাশ্যে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাঁচশ’ এবং অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সাতশ’ টাকা নগদ আদায় করে স্লিপের মাধ্যমে বই বিতরণ করেছেন। যেসব শিক্ষার্থীরা টাকা দিতে পারেনি তারা বই না পেয়ে খালি হাতে বাড়িতে ফিরে গেছে।
অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, গতবছর ওই স্কুলের প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফি বাবদ জনপ্রতি তিনশ টাকা করে আদায় করা হলেও কোন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়নি।
এ বিষয়ে উজিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল হক জানান, বই দেয়ার সময় কোন টাকা বা সেশন চার্জ নেয়ার বিধান নেই। যদি কেউ নিয়ে থাকেন সে ব্যাপারে কোন ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জয়শ্রী-মুন্ডপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক মো. সেকেন্দার আলী সাংবাদিকদের কাছে বলেন, টাকা আদায় করা হয়েছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মাঝি নির্দেশ অনুযায়ী। তবে পাঁচশ’ টাকার কমও যারা দিয়েছে তাদেরকেও বই দেয়া হয়েছে। এটা সেশন চার্জ, যা আদায় করার নিয়ম রয়েছে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস