বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল গত ৭০ বছর ধরে সৃজনশীলতা ও মতামত প্রকাশ করার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে আসছে। এ উপলক্ষে বৃত্ত আর্টস ট্রাস্ট (বাংলাদেশ), তারা থিয়েটার (যুক্তরাজ্য) ও ব্রিটিশ কাউন্সিল যৌথভাবে আয়োজন করেছে ‘আর্টিস্টস মেক স্পেস’ (এএমএস)।
তরুণ বাংলাদেশি ও যুক্তরাজ্যের শিল্পীদের মধ্যে সহযোগিতা ও স্বকীয়তাকে অনুপ্রাণিত করতে এবং বাংলাদেশে ৭০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ব্রিটিশ কাউন্সিল এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা (কমিশন) প্রদান করেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগীতায় এই প্রকল্পের উদ্বোধনী প্রদর্শনী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের রশিদ চৌধুরী আর্ট গ্যালারীতে চলছে। এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আগ্রহীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই প্রদর্শনী।
এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শিরিন আখতার ও প্রফেসর বেনু কুমার দে। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. মাহবুবুল হক, শিল্পী ঢালী আল মামুন এবং শিল্পী নাজলী লায়লা মনসুর।
এই প্রদর্শনীটি কিউরেট করেছেন শিল্পী মাহবুবুর রহমান ও নাতাশা কাঠি চন্দ্রা। বাংলাদেশে এই প্রদর্শনীটি পর্যায়ক্রমে ঢাকা ও সিলেটের কবি নজরুল অডিটোরিয়াম (সিলেট), ব্রিটিশ কাউন্সিল (ফুলার রোড, ঢাকা) ও বৃত্ত আর্টস ট্রাস্ট (ঢাকা) এই ৩টি ভেন্যুতে প্রদর্শিত হবে। এই প্রকল্পটি ইতিমধ্যে প্রদর্শিত হয়েছে যুক্তরাজ্যের লন্ডন, বার্মিংহাম ও ম্যানচেস্টার- এই ৩টি ভেন্যুতে।
মহামারীর সময়ে ভার্চুয়াল জগতের যে উপযোগীতা ও নির্ভরশীলতা তৈরি হয়েছিল, বৃত্ত আর্টস ট্রাস্ট (বাংলাদেশ) ও তারা থিয়েটার (যুক্তরাজ্য) এই প্রেক্ষাপটকে কাজে লাগিয়ে ৭ জন বাংলাদেশি শিল্পী ও ৭ জন যুক্তরাজ্যের শিল্পীকে একত্রিত করে। এই ১৪ জন শিল্পী ভার্চুয়াল যোগাযোগের মধ্য দিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের সমন্বিত চিন্তাগুলোকে সরাসরি যোগাযোগের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে একত্রিত করেছে এবং সৃষ্টি করেছে তাদের শিল্পকর্ম। এই প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে শিল্পী ঢালী আল মামুন, সালাউদ্দিন আহমেদ ও মাহমুদুল হোসেন এবং যুক্তরাজ্য থেকে জেনিফার ট্যাং, ক্লাইভ লিটল, উজমা হামিদ ও যাসপ্রীত কৌর মেন্টর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
আনন্দবাজার/কআ