- ২৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি
- ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে বাজারজাত
দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে চাহিদা। ফলে মজুদ নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যে কারণে ফের চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। ১২টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ২৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ১২ হাজার টন এবং আতপ চাল ১৫ হাজার টন। গতকাল মঙ্গবার খাদ্য মন্ত্রণালয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত দুটি চিঠি পাঠিয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবর রহমানেরে স্বাক্ষর করা চিঠি দুটিতে বলা হয়, এসব ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে উল্লেখিত পরিমাণ (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাংগাদানা বিশিষ্ট) সিদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আমদানির শর্তে বলা হয়, বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে, আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু বা জারি করা যাবে না, আমদানি করা চাল সত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করা যাবে না এবং আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রয় করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে তিন কোটি ৮৭ লাখ টন চাল উৎপাদিত হয়েছে। আর পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, ওই বছর চালের উৎপাদন ছিল তিন কোটি ৭৬ লাখ টন। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক কৃষি সেবা বিভাগের ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের (ইউএসডিএ) তথ্যমতে, ২০২০-২১ চলতি অর্থবছরে দেশে চাল উৎপাদন হয়েছে তিন কোটি ৪৬ লাখ টন।
আবার গত অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনের পরও সাড়ে ১৩ লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে। বিপরীতে চালকল মালিকরা দাবি করছেন, দেশে এ মুহূর্তে বিদেশিসহ মোট জনসংখ্যা ২০ কোটি। এই হিসাবে চালের চাহিদা তিন কোটি ৪ লাখ টন। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রথম দফায় গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে ৪ লাখ নয় হাজার টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এরপর গত ৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৪৬ হাজার টন এবং তৃতীয় দফায় গত ৭ জুলাই ৬২টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৮২ হাজার টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য অনুমতি দিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এরপর আরও বেশ কয়েক ধাপে আমদানির অনুমতি দিতে চিঠি পাঠানো হয় এবং অনুমতিও মেলে।
আনন্দবাজার/শহক