লেনদেনে সফটওয়্যার ত্রুটি
লেনদেন
- ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি
- ডিএসইতে ৩শ কোটি টাকা
- সিএসইতে ১০ কোটি
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল সোমবার সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। লেনদেন পরিমাণ দুই স্টকে কমেছে। লেনদেন কমে ডিএসইতে ৩শ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। সিএসইতে ১০ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। উভয় স্টকে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার চাপ বেশি।
এদিকে গতকাল সকালে ডিএসইর ট্রেডিং সফটওয়্যারে কারিগরি সমস্যা দেখা দেয়। ফলে সকাল ১০টা ৫৮ মিনিট থেকে দুপুর সাড়ে ২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ ছিল ডিএসইর লেনদেন কার্যক্রম। সমস্যার কারনে লেনদেন বন্ধ ছিল ৩ ঘন্টা ১২ মিনিট।
লেনদেন বন্ধ প্রসঙ্গে ডিএসইর ডিজিএম শফিকুর রহমান বলেন, ডিএসইর সফটওয়্যারের সিষ্টেমে সমস্যা দেখা দেয়। লেনদেন শুরুতে সমস্যা চিহ্নিত করতে পারি নাই। ফলে লেনদেন বন্ধ রাখতে হয়েছিল। লেনদেনে ফেরার জন্য আইটি টিম কাজ করে সমস্যার সমাধান করে। ফের লেনদেন শুরু হয় দুপুর ২টা ১০ মিনিটে। বন্ধ সময় লাঘবে সোমবারের লেনদেন দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের পরিবর্তে ২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত চলে। আর পোস্ট ক্লোজিং সেশন কমিয়ে ৫ মিনিট বা ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত করা হয়।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার ডিএসইতে ৩৩৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস গত রবিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৬ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৭ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ১৪ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২৪৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৮৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৮টি এবং কমেছে ৮২টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২১৫টির। এদিন ডিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন বেক্সিমকো ৪০ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মা ২৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা, ইস্টার্ন হাউজিং ২০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, এডিএন টেলিকম ১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ১৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, সী পার্ল বিচ ১৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, জেএমআই হসপিটাল ১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, জেএমআই সিরিঞ্জ ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, জেমিনি সী ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং ওরিয়ন ইনফিউশন ৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
অপরদিকে, সিএসইতে গতকাল সোমবার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস রবিবার ১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২০২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩১টি, কমেছে ৫৮টি এবং পরিবর্তন হয়নি ১১৩টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৮৬ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৩৩ দশমিক ৬০ পয়েন্টে।
সিএসই-৫০ সূচক ৯ দশমিক ৫২ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৫১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ১৩ দশমিক ৯১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৪৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩০২ দশমিক ৬০ পয়েন্ট, ১১ হাজার ১৬৭ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৯৩ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ১৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩১৯ দশমিক ৫০ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মা ২ কোটি ৯ লাখ টাকা, বেক্সিমকো ৮৬ লাখ টাকা, প্রান ৪০ লাখ টাকা, জেএমআই হসপিটাল ৩০ লাখ টাকা, শাইনপুকুর সিরামিকস ২৮ লাখ টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স ২৫ লাক টাকা, জেএমআই সিরিঞ্জ ২৪ লাখ টাকা, জিএসপি ফাইন্যান্স ২৩ লাখ টাকা এব বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস ২২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।