রোববার রাতেই সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি সিত্রাংয়ে রূপ নিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিন-৯ অনুযায়ী সিত্রাং পায়রা বন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ফলে উপকূলের মানুষ ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সরকার জানান, খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটায় ৪০ হাজার মানুষ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। এরই মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩০ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণকক্ষ, গঠন করা হয়েছে ১১৬টি মেডিকেল টিম। প্রস্তুত রয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
খুলনায় ৪০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং আসেপাশের স্কুল মিলিয়ে ৫৪৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, খুলনা জেলার উপকূলীয় এলাকার ৫৪৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে দাকোপে ১১৮টি, বাটিয়াঘাটায় ২৩টি, ডুমুরিয়ায় ২৫টি, কয়রায় ১১৮টি, পাইকগাছায় ১০৮টি, তেরখাদায় ২২টি, রূপসায় ৩৮টি, ফুলতালায় ২৫টি ও দিঘলিয়া উপজেলায় ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। যে কোনো দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রগুলোয় মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।
মেডিকেল সেবার জন্য জেলার প্রতিটি উপজেলায় ৫টি এবং প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মোট ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য ডাক্তার, সেবিকা, ওষুধপত্র ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কয়রা উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ লাখ টাকা, ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, পাইকগাছা উপজেলায় ৬ মেট্রিক টন চাল, ১ লাখ নগদ টাকা, ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, দাকোপ উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন চাল, ১.৫০ লাখ টাকা, ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৪ মেট্রিক টন চাল, ৫০ হাজার নগদ টাকা ও ১০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি পরিবারে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার সয়াবিন, ১ কেজি চিনি ও ১ কেজি লবণ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর।
সিত্রাংয়ের প্রভাবে সারসরি ক্ষয়-ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা।
আনন্দবাজার/কআ