ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২০ সালে এশিয়ার অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষে থাকবে বাংলাদেশ

নতুন বছরে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষে থাকবে বাংলাদেশ। চীনসহ এশিয়ার ৪৫ টি দেশের অর্থনীতি পর্যালোচনা করে এডিপি এই ভবিষ্যতবাণী করেছে

এডিপি বলছে, আমেরিকা ও চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ এবং আমদানি রপ্তানিতে  বৈশ্বিক মন্দা এশিয়ার অর্থনীতিতে প্রভাব ফেললেও এশিয়ার অর্থনীতিতে এই বছর প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৫%। বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে এই অঞ্চলের ব্যবসা প্রাথমিক ঝুঁকিতে থাকলেও যে কয়টি দেশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখবে সেগুলো হল –

বাংলাদেশ – এই বছরেও বাংলাদেশের জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ থাকবে। টেক্সটাইল সেক্টরে বৈদেশিক বিনিয়োগের বৃদ্ধি, রেমিটেন্স প্রবাহের কারণে এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বাংলাদেশ। ২০১১ সাল থেকেই বাংলাদেশ জিডিপিতে ৬ শতাংশের উপরে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। ২০১৯ সালের প্রথম ভাগে এফডিআই ১৯.৫% ভাগ বেড়ে ১.৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

ইন্ডিয়া – এশিয়ার উদীয়মান পরাশক্তি ইন্ডিয়া এই বছরে ৭.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে এই বছর। ইলেকট্রনিক্সসহ প্রক্রিয়াজাত পণ্যের নতুন পাওয়ার হাউজ হয়ে উঠছে ইন্ডিয়া। তবে গত দু’বছরে ইন্ডিয়ার জিডিপি কমতির পথে।

তাজিকিস্তান – এই বছরে তাজিকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ। সাবেক সোভিয়েতভুক্ত এই দেশটি স্বর্ণ ও রুপার মাইনিং, মেটাল প্রক্রিয়াকরণ থেকে এই প্রবৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি ১০ লাখ প্রবাসীর পাঠানো রেমিটেন্স এই প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।

মায়ানমার – এই বছর মায়ানমারের প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৮ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে মায়ানমারের রপ্তানি আয় বেড়েছে অনেকগুণ। রপ্তানি আয়ের এই প্রবৃদ্ধি মোট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। বিগত তিন বছর ধরে মায়ানমার বার্ষিক ৬.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।

কম্বোডিয়া – কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৮ শতাংশ। কম্বোডিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগের কারণে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে এই দেশের। রিয়েল এস্টেট, গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।

এই দেশগুলোর বাইরেও নেপাল, মালদ্বীপ, লাওস, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম ৬ শতাংশের উপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে এই বছর।

আনন্দবাজার/জায়েদ

সংবাদটি শেয়ার করুন