দুই হাতের একটিও নেই, দুই পায়ের একটি অচল। এত প্রতিবন্ধকতাও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মানিকের জন্য। পা দিয়ে লিখেই জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসিতে) জিপিএ-৫ পেয়েছে সে।
মানিক রহমান কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। তার বাবা মিজান একজন কৃষক। জন্ম থেকেই মানিকের দুটি হাত নেই। পা দুটি থাকলেও একটি একেবারেই অচল। আর সেই পা দিয়েই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছে সে।
আরও পড়ুন: জিপিএ-৫ জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না : শিক্ষামন্ত্রী
মানিক এবার ফুলবাড়ী জছি মিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে জিপিএ-৫ নিয়ে পাশ করেছে। এক সময় ঠিক মতো কথা বলতে না পারা মানিকের এই সাফল্য দেখে তার পরিবার এবং শিক্ষকেরা অনেক আনন্দিত। এর আগে ২০১৬ সালেও প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায়ও সে জিপিএ ৫ পেয়েছিল।
মানিকের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, আমার দুই ছেলে। মানিক বড়। ছোট ছেলে মাহীম দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মানিক প্রতিবন্ধী এটা আমরা মনে করি না। জন্ম থেকেই মানিকের মা ও আমি তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস করিয়েছি।
ফলাফল জানার পর মানিক জানায়, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে সে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায় ।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস