কর ফাঁকি রোধে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২০ এ কাজ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আটটি টিম। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী এ মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক কর দেয়া খতিয়ে দেখছে এনবিআর এর এই টিমগুলো।
এনবিআরের ঢাকা পশ্চিম বিভাগের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট বাণিজ্য মেলায় নতুন ভ্যাট আইনের যথাযথ মনিটর করার জন্য টহল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই আটটি টিমকে। পাশাপাশি বুথে এই সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২০’ মেলা উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশসহ এবার ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৮৩টি স্টল থাকছে বাণিজ্য মেলায়। এর মধ্যে ১১২টি প্যাভেলিয়ন, ১২৮টি মিনি প্যাভেলিয়ন এবং ২৪৩টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়নকে সাজানো হয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে।
ডেপুটি কমিশনার মো. রেজাউল হক বলেন, মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর আওতায় মেলায় আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর অনলাইন ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তিকে সহজতর ও ভ্যাট সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে মেলায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার খোলা হয়েছে। বুথ থেকে ভ্যাট সম্পর্কিত যে কোনো সেবা নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাদের সবাইক ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ, ক্রেতার অনূকুল মূসক ৬.৩ এ কর চালনপত্র ইস্যুকরণ ও ভ্যাট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মেলায় অংশগ্রহণ করা অন্যান্য দেশগুলো হচ্ছে-ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান, মরিশাস, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়া।
৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। মেলায় প্রবেশের টিকেট মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ধরা হয়েছে ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ধরা হয়েছে ২০ টাকা। মোট টিকেটের ২৫ শতাংশ অনলাইনে পাওয়া যাবে। এছাড়া মেলার মাঠে চালু থাকবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস