খুলনার অভিযান চালিয়ে জেলি মেশানো ৯০০ কেজি চিংড়ি জব্দ করেছে র্যাব। এতে একটি মৎস্য ডিপোর ম্যানেজারসহ ১৫ জনকে ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মহানগরীর রূপসা বাসস্ট্যান্ড এলাকার বুধবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বিভিন্ন মৎস্য আড়তে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
খুলনা সদর দপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার র্যাব-৬ এর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, জিআই পণ্য চিংড়ি বাংলাদেশের হোয়াইট গোল্ড হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিশয় মুনাফার লোভে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অপদ্রব্য পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করে আসছে ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চিংড়ির রং আকর্ষণীয় করছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে র্যাবের দলটি রাতে রূপসার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সমন্বয়ে রূপসা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন মৎস্য আড়তে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় অবৈধভাবে চিংড়িতে অপদ্রব্য (জেলি) পুশ করার দায়ে মৎস্য ও মৎস্য পণ্য নিয়ন্ত্রণ (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০ এর ৩৩ ধারায় ১৫ জনকে জরিমানা করা হয়।
জরিমানা করা হয় মেসার্স রাকিব ফিশের ম্যানেজার ইব্রাহিম শেখকে ১ লাখ টাকা, তার কর্মচারী ইমন মোল্লাকে ৫ হাজার টাকা, রবিউল ইসলাম জুয়েল, রাসেল ব্যাপারী, নাজিম সরদার, মো. মিরাজ, মো. আল আমিন ইসলাম, মো. রিপন হাওলাদার, মো. নাজমুল, বাবু হোসেন, মো. হাফিজুর রহমান, রনি মৃধা, মো. আলিফ, হানিফ হাওলাদার ও মোস্তাকিম হাওলাদারদের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় মৎস্য আড়ত থেকে অপদ্রব্য (জেলি) পুশ করা ৯০০ কেজি চিংড়ি জব্দ করা হয়। জব্দকৃত চিংড়ি মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়েছে এবং জরিমানার অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিক প্রদান করায় বিধি মোতাবেক সরকারি কোষাগারে তা জমা করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/কআ
