ঢাকা | রবিবার
২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মন্দায় বাজেট বাড়াও

মন্দায় বাজেট বাড়াও
  • বিশ্বব্যাংকের সদস্য দেশগুলোর প্রতি তাগিদ
  • বাংলাদেশ সরকারকে আরও জনমুখী হতে হবে: ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ

ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে অর্থনীতি মন্দায় ভুগছে বিশ্ব। এজন্য বিশ্বব্যাংক সদস্য দেশগুলোকে আরও বাজেট সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি মানুষের কল্যাণ হয় এমন প্রকল্পে সরকারি অর্থ বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এই বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দার হাত থেকে বিশ্ববাসীকে বাঁচাতে দেশগুলোতে বাজেট সহায়তা বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বহুপাক্ষিক বিনিয়োগ গ্যারান্টি এজেন্সির (এমআইজিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ জুনায়েদ কামাল আহমেদ। তিনি বলেন, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতি ২০২৩ সালে সংকট আরও বাড়তে পারে।

২০২৩ সালে বিশ্ব জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) কমে হবে ২ দশমিক ২ শতাংশ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি কমলেও এখনো স্বস্তিতে আছে বলে মনে করেন জুনায়েদ কামাল আহমেদ। বিশ্ব অর্থনীতির যখন এ পূর্বাভাস তখন বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনে করেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির প্রশ্নে এখনো স্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ। তবে, তা ধরে রাখতে সরকারকে আরও জনমুখী হতে হবে।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে-ওলিভিয়ার গোরিনকাস জানান, বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ২০২১ সালের ৬ শতাংশ থেকে কমে এবারে হবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। তবে ২০২৩ সাল হবে আরও কঠিন হবে। ধারাবাহিকভাবে কমে ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ২ দশমিক ২ শতাংশে। এছাড়া করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া ইউক্রেন-যুদ্ধের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে বিশ্ববাণিজ্য।

তিনি আরও জানান, হিসাব বলছে ২০২২ সালে সারাবিশ্বে জীবন-যাত্রার খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ৮ দশমিক ৮ শতাংশে। ২০২৩ সালে তা কিছুটা কমে ৬ ঘরে এলেও উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি কমবে। তার প্রভাবে চাপে থাকবে পুরো বিশ্ব অর্থনীতি।

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আইএমএফ মনে করে- গেলো বছরের তুলনায় এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নেমে আসবে অর্ধেকে। জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে অস্থির পণ্য বাজারের জন্যেও খুব বেশি সুখকর নয়। সংস্থাটি বলছে- ২০২২ সালে বিশ্ব মূল্যস্ফীতি দাড়াঁবে প্রায় ৯ শতাংশে।

ওয়াশিংটনের এবারের বৈঠকে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বেশ কয়েকটি খাতে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাজেট সহায়তা বাড়ানোও প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।

সংবাদটি শেয়ার করুন