রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সফল করার জন্য যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের পাশে থাকার দৃঢ় আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তা ছাড়াও জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সোমবার বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপি এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি এমপির মধ্যে প্রথমবারের মতো এক সৌজন্য ফোনালাপে এসব কথা হয়। গতমাসে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন।
এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নবনিযুক্ত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। রানী এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটিকে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।
ফোনালাপে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত অভিবাসী বাংলাদেশীদের অবদান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ সম্পর্ক, বহুপাক্ষিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়।
গত বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। চলমান সংঘাত এবং এর ফলে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের বিষয়টি আলোচনায় স্থান পায়।
এ প্রসঙ্গে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন উল্লেখ করেন যে, সংঘাতের কারণে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
সৌজন্য ফোনালাপের সময় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্বিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আনন্দবাজার/কআ