ঢাকা | শনিবার
২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধেয়ে আসছে মন্দা

ধেয়ে আসছে মন্দা

বাংলাদেশের জন্য চার চ্যালেঞ্জ

  • সঠিক সময়ে নিতে হবে সঠিক পদক্ষেপ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং সে কারণে তার সরকার ইতোমধ্যেই আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এর আগে গত মাসেই বিশ্বব্যাংকও তাদের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছিলো যে বিশ্ব অর্থনীতি ২০২৩ সালের দিকে মন্দার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন করেছে বিবিসি বাংলা।

তাতে বলা হয়, মূলত দুই বছরের করোনা মহামারির পর ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরেই বিশ্বে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা, যা মোকাবিলায় দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার হিমশিম খাচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক অর্থনীতির এ হালের জন্য এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধ আর পরাশক্তিগুলোর নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞাকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের মানুষকে প্রতি ইঞ্চি জমিতে শস্য আবাদের পরামর্শ দিয়েছেন যাতে করে উৎপাদন বাড়িয়ে মানুষ সঞ্চয় করতে পারে।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে আমেরিকা ও রাশিয়ার নানা পদক্ষেপের কারণে ইতোমধ্যেই অর্থনীতিতে নানা প্রভাব পড়েছে এবং দ্রব্যমূল্য বেড়েছে অনেকখানি। সামনে সংকট আরও বেশি হলে অর্থনীতির অবস্থা কেমন দাঁড়ায় তা নিয়ে তাই বেশ উদ্বেগ আছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।

বৈশ্বিক মন্দা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য: যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে ঢাকায় ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ব্রিটেনের রানীর শেষকৃত্যানুষ্ঠান ও জাতিসংঘের অধিবেশনের সময় বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে জানান যে, তারা বিশ্বময় একটি দুর্ভিক্ষের আশংকা করছেন এবং ২০২৩ সালে দুর্যোগময় সময় ঘনিয়ে আসছে বলে মনে করেন।

তবে তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন যে বাংলাদেশের এ মুহূর্তে উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ভালো যা দিয়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। “কিন্তু বিশ্ব যদি সমস্যায় থাকে সেক্ষেত্রে আমরা কি ভালো থাকব? এ জন্য মানুষের কষ্ট লাঘবে যা করা দরকার তার সব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আগামী বাজেট নিয়েও এখনি চিন্তা করা হচ্ছে,” সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই বিলাসদ্রব্য আমদানি সীমিত করেছে ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আমদানিয় ব্যয় কমিয়ে এনেছে। গত বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে তার একাধিক বক্তব্যে ২০২৩ সালের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার কথা বলে মূলত খাদ্য সংকটের দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।

কী ধরণের চ্যালেঞ্জ আসতে পারে বাংলাদেশের জন্য

১. রপ্তানি আয় কমে যেতে পারে।

২. আমদানি করা খাদ্য পণ্যের দাম বাড়বে।

৩. মন্দায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে তার সাথে দেশের বাজারের সমন্বয় সাধন করা।

৪. রেমিটেন্স কমতে পারে।

বিশ্ব অর্থনীতি মন্দায় পড়লে বাংলাদেশের রপ্তানিতে এর প্রভাব পড়বে কারণ তৈরি পোশাকের চাহিদা কমবে। তবে সঠিকভাবে এগুতে পারলে এখানে কিছুটা ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে। কারণ বাংলাদেশ যেসব পোশাক রপ্তানি করে সেগুলো খুব উচ্চমূল্যের নয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন