শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহ নেই জলাতঙ্কের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন। এতে কুকুর বা বিড়ালে কামড়ালে সেবা পাচ্ছেন না রোগিরা। এতে করে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে ভ্যাকসিন। উপজেলার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ চিকিৎসা নিতে আসে। হাসপাতালে সাপে কাটা ভ্যাকসিন সরবরাহ থাকলেও কুকুরে কামড়ানো প্রতিষেধক ভ্যাকসিন না থাকায় সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন রোগিরা।
জানা যায়, কুকুরে বা বিড়ালে কামড়ালে রোগিদের হাসপাতালে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর কর্মরত চিকিৎসকরা হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবাহ নেই বলে জানিয়ে দেন। পরে বাহির থেকে অতিরিক্ত মূল্যে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে তাদের। এছাড়াও জেলা সদরে গিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হচ্ছে এসব রোগিদের। এতে করে অনেক ভোগান্তির স্বীকার হতে হয় তাদের। উপজেলার একমাত্র সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন না পাওয়া দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলার ছালুয়াতলা গ্রামের ভুক্তভোগী এমদাদুল হক জানান, আমার দেড় বছর বয়সী নাতিকে বিড়ালে কামড়ালে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করি। তারা জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নেই বলে জানিয়ে দেয়। পরে আমাকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বাহিরের ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হয়েছে। হাসপাতালে সরবরাহ থাকলে আমার টাকাগুলো বাড়তি খরচ হতোনা।
এ বাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিকুল ইসলাম জানান, কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন হাসপাতালে সরবরাহ নেই। রোগিরা বাহিরের ফার্মেসি থেকে কিনছেন। তবে, সাপে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবরাহ রয়েছে।