- ব্যবসায়ীদের জন্য আশির্বাদ
- বাড়ছে পণ্য আমদানি
দেশের চাহিদা পূরণে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আসছে ধান, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, খৈল, পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য। ঢাকার সঙ্গে কলকাতার অল্প দূরত্ব ও স্বল্প ব্যয়ে ব্যবসা পরিচালনার জন্য চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলবন্দর ব্যবসায়ীদের জন্য আশির্বাদ।
পণ্য আমদানী-রপ্তানীর জন্য দর্শনা রেলবন্দরটি দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন হয়ে কাজ করে। এ রেলবন্দর দিয়ে দেশে আসে এসব পণ্যের বড় বড় চালান। পণ্য আমদানিতে প্রতিদিনই সরগরম থাকে বন্দর এলাকা। বাণিজ্যিক সুবিধায় এ রেলবন্দরটি ব্যবসায়ীদের কাছে লাভের খনি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এ সীমান্ত রেলপথ দিয়ে হাজার হাজার টন পণ্য আমদানি হচ্ছে নিয়মিত। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাগছে আশার আলো। ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি করতে এ পথ ব্যবহার করায় প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব অর্জন করছে বাংলাদেশ সরকার।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রক্ষায় ব্যবসায়ীরে কাছে আকর্ষণিয় স্থান দর্শনা রেলবন্দর। এ বন্দর দিয়ে রেলপথে পণ্য আমদানি রপ্তানিতে বেশি আগ্রহ দেশের ব্যবসায়ীদের। ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সময় কম লাগায় এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি বেড়েই চলেছে। রেলপথ দিয়ে পণ্য আমদানি করে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হচ্ছে, তেমনি রেল বিভাগের আয়ের বিশাল খাত দর্শনা রেলবন্দর। গেল বছরে দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে শুধু পণ্য আমদানি করেই রেল আয় করেছে শত কোটি টাকা।
জানা যায়, গেল এক বছরে ভারত থেকে পণ্য এসেছে ২২ লাখ টনেরও বেশি। এর মধ্যে ১ লাখ ৫১ হাজার টন চাল, ৩ লাখ ২৬ হাজার টন গম, ২ লাখ ৫৪ হাজার টন ভুট্টা, পাথর এসেছে ১১ লাখ ১৬ হাজার টন, ৬৯ হাজার টন পেঁয়াজ, ৮৮ হাজার টন খৈল আর ফ্ল্যাই অ্যাশ এসেছে ২ লাখ ১১ হাজার টন। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট আয় ৯৮ কোটি ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭৬ টাকা।
এ প্রসঙ্গে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনের তত্ত্বাবধায়ক মীর লিয়াকত আলী বলেন, রেলের মাধ্যমে ব্যাবসায়ীরা আমদানিতে বেশ উৎসাহী হচ্ছেন। এতে আমাদের রেলের আয় যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনই সরকারের রাজস্বও বাড়ছে।
মীর লিয়াকত আলী আরও বলেন, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দর্শনা রেলবন্দরটির যে সক্ষমতা প্রয়োজন তা বর্তমানে রয়েছে। ভবিষ্যতে যদি রেলের মাধ্যমে পণ্য আমদানি বেড়ে যায় তাহলে রেলবন্দরটিতে লোকবল আরও বাড়ানো হবে।
দর্শনা রেল বন্দরকে ঘিরে সমৃদ্ধি হচ্ছে এলাকার অর্থনীতিও। আমদানি যেভাবে বাড়ছে তাতে খুব শিগগরই এ বন্দর দেশের অন্যতম ব্যস্ততম বন্দরে পরিণত হবে। ব্যবসা বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনাময় দর্শনাকে আরও সমৃদ্ধ করতে রেলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমানির পাশাপাশি রপ্তানি বাড়ানো গেলে উভয় দেশের রাজস্ব বৃদ্ধি পবে বলে মত সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী নেতাদের।