দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই যেন সক্রিয় কাটার মাষ্টার খ্যাত মুস্তাফিজ। যেকোন দলের বিপক্ষে বল হাতে উত্তাপ ছড়ানো সবার প্রিয় হয়ে ওঠা মুস্তাফিজকে এখন চেনাই যায়না। বরং ২১ বিশ্বকাপ পরবর্তী দর্শকদের বিরক্তির জায়গা দখল করেছেন মুস্তাফিজ।
গত এক বছরে ন্যূনতম ১০ উইকেট পাওয়া বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বাজে গড় মুস্তাফিজের। ১ বছরে ২১ ম্যাচে ১৮ উইকেট পাওয়া মুস্তাফিজের টি-টোয়েন্টিতে গড় এই সময়ে ৩৩ এরও বেশি। আর ইকোনমি রেটও টাইগার অন্য সব পেসারের চেয়ে বেশি ৮.৬৬। ১৮ উইকেটের ১০টিই এসেছে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে।
যদিও সদ্যই ইএসপিএনক্রিকইনফো একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে টি-টোয়েন্টিতে সেরা স্লোয়ার পেসার বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। আর ঐ রিপোর্টে টাইগার এই পেসারের ভালোই প্রশংসা করেছে ওয়েবসাইটটি।
মুস্তাফিজের গত এক বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, এই পেসার উইকেট পেলেও বল হাতে বেশ বিবর্ণ। গত এক বছরে ন্যূনতম ১০ উইকেট পাওয়া বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বাজে গড় মুস্তাফিজের।
মুস্তাফিজের বিরক্তি ধরানো রান বিলানো বোলিং বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলে নিয়মিত আলোচনা-সমালোচনা। দর্শকদের অনেকের মত মুস্তাফিজকে দলের বাইরে রেখে কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমেই ফেরানো সম্ভব। দলে অনেক সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
যদিও ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে বিসিবি সভাপতি বলেন, আসলে মুস্তাফিজ তো আনডাউটেডলি আমাদের ফার্স্ট চয়েজ ও বেস্ট বোলার। এখন আমার ধারণা সে ফিরবে। তার কামব্যাক করা উচিত।
কিন্তু গেল এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজের ভালো ইকোনমি রেট বা পারফরম্যান্সের আলোচনায় আছে মিরপুরের স্টেডিয়াম। ৪ ম্যাচে মাত্র সাড়ে পাঁচ ইকোনমিতে বোলিং করেছে এই পেসার। তবে, দেশের বাইরে গেলেই দেদারসে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে (৭ অক্টোবর) পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। শেষ ২ ওভারেই দিয়েছেন ২৯ রান। হেসে খেলেই মুস্তাফিজের বোলিং মোকাবেলা করেছে পাকিস্তানি ব্যাটাররা।
ঘরের বাইরে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ৮, ৯, ১০ এর বেশি ইকোনমিতে বোলিং করছেন মুস্তাফিজ। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে তো ৪ ওভারে ৫০ রান হজম করার লজ্জাও পেয়েছেন এই পেসার।
এমন বিবর্ণ মুস্তাফিজের বিষয়ে টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ বলেছিলেন, অটোচয়েজ প্রথা ভাঙার সময় হয়েছে। গেল ১৫-১৬ ম্যাচে ও (ফিজ) ভালো করতে পারছে না। এটা ভয়ের কারণ।
আনন্দবাজার/কআ