ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৈলাসে ফিরলেন দুর্গা

কৈলাসে ফিরলেন দুর্গা

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানিকতা শেষ হলো গতকাল। এদিন সকাল ১০টায় যথারীতি দশমীবিহিত পূজা শুরু হয়, যা বিকাল পর্যন্ত অশ্রুসিক্ত দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে দেবী দুর্গা এই মর্ত্যলোক ছেড়ে কৈলাসে ফিরে গেছেন।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকালে দশমীবিহিত পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জন শুরু হয় সারাদেশে। বিজয়ার শোভাযাত্রা নিয়ে চলে প্রতিমা বিসর্জন। বিসর্জন শেষে শান্তিজল নিয়ে ঘরে ফিরেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।

প্রতিমা বিসর্জন করতে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় বিজয়ার শোভাযাত্রা বের হয়। এতে যোগ দিতে ঢাকার ২৪১টি মণ্ডপ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন ঢাকঢোল পিটিয়ে পলাশীর মোড়ে জড়ো হন। এখান থেকে সম্মিলিতভাবে বিজয়ার শোভাযাত্রা যায় সদরঘাটের ওয়াইজঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে। এরপর চলে প্রতিমা বিসর্জন, যা দুর্গাপূজার শেষ আনুষ্ঠানিকতা।

মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল বলেন, সকালে দশমীর পূজা শেষে বিসর্জন শুরু হয়। তারপর সিঁদুর খেলা। দুপুরে  শুরু হয় শোভাযাত্রাসহ ওয়াইজঘাটে বিসর্জন। এছাড়া মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় তুরাগ নদীতেও প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক বলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে এবারের দুর্গোৎসব হয়েছে।

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে গতকাল সকালে বঙ্গভবনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। করোনার কারণে আয়োজনটি সংক্ষিপ্ত পরিসরে করা হয়।

এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়। রাজধানীতে ২৪২টি মণ্ডপ রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মন্দির, ধানমন্ডি পূজামণ্ডপ ও বনানী সর্বজনীন পূজামণ্ডপকে বিশেষ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। ঢাকার বৃহত্তর মন্দির হলো সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, রমনা কালীমন্দির, উত্তরা সর্বজনীন পূজামণ্ডপ, বসুন্ধরা সর্বজনীন পূজামণ্ডপ ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট পূজামণ্ডপ। এছাড়া ২ তারকাবিশিষ্ট ৮৬টি, এক তারকা ৭৭টি এবং সাধারণ শ্রেণির ৬১টি পূজামণ্ডপ ছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন